আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই রংপুরে এ হামলার ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার রংপুরের পাগলাপীরের ক্ষতিগ্রস্ত ঠাকুরপাড়া গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বিরাজমান সুসম্পর্ক নষ্ট করতেই একটি রাজনৈতিক অশুভ শক্তি রংপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ধর্মীয় অবমাননা করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১০ নভেম্বর রংপুরের ঠাকুরপাড়া গ্রামে বেশ কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়।
ঠাকুরপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অবস্থা দেখতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল রোববার দুপুরে রংপুরে যায়।
কাদের অভিযোগ করে বলেন, আজকে একটি রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহল, সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি দেশে এসব অপকর্ম করে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বিরাজমান সুসম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছে।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এটা একটা পরিকল্পিত ঘটনা। কিন্তু এসব অপকর্ম করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। হামলাকারীরা পানি ঘোলা করে, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়।
নাগরিক সমাবেশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মন্তব্যের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মতো কর্মদিবসে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করেনি। সমাবেশকে ঘিরে যাতে জনভোগান্তির সৃষ্টি না হয়, তাই ছুটির দিন দেখে সমাবেশ করা হয়েছে।
নাগরিক সমাবেশে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জোর আনার যে অভিযোগ বিএনপির মহাসচিব করেছেন, সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, শনিবার স্কুল ছুটি ছিল, তাই শিক্ষার্থীদের জোর করে আনার মতো কিছু ঘটেনি।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া সরকার ওই পরিবারগুলোকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পরে ওবায়দুল কাদের ব্রাহ্মণপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধী সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য বি এম মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত প্রমুখ।