ধর্ষণকে রীতিমতো পেশায় পরিণত করেছে ভারতের চেন্নাইয়ের এক যুবক। আর ধর্ষণ করতে তার প্রধান অস্ত্র ছুরি। নিরীহ নারীদের টার্গেট করে প্রথমে ডাকাতি। তারপর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ধর্ষণ। এই পন্থায় এ পর্যন্ত ৫০ জন নারীকে সে ধর্ষণ করেছে। এই অভিযোগে ২৮ বছরের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে চেন্নাই পুলিশ।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম মাধন অরিভালাগন। সে রাজ্যের কৃষ্ণাগিরির মথুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, বাড়িতে একা থাকেন এমন নারীকদেরই টার্গেট করত সে। তারপর সেইসব নারীকেদের জিনিসপত্র লুঠের পর ধর্ষণ করত। এমনকি, ধর্ষণের ভিডিও করে রাখত নিজের মোবাইলে। সেই ভিডিও দেখিয়ে ফের ধর্ষণের হুমকিও দিত অভিযুক্ত যুবক।
ধৃত মাধনের ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে এরকম বহু ভিডিও। জেরায় মাধন পুলিশকে জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করত সে। ২০১৫-তে চাকরির জন্য চেন্নাইতে আসে। কিন্তু সেখানে সুবিধা না হওয়ার পরই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এ যুবক। টাকার জন্য প্রথমবার ডাকাতি করে সে। ডাকাতির পর নারীকেকে ধর্ষণও করে। তারপর থেকে নারীকেদের টার্গেট করে করে একাজ করতেই থাকে মাধন।