জাতীয়

জামায়াতের নতুন আমিরের ৭১-এর ভূমিকা তদন্তের আহ্বান

By daily satkhira

October 20, 2016

ডেষ্ক রিপোর্ট:মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে অস্ত্র ধারা জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির মকবুল আহমাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ১৪ দলের শরিক তরিকত ফেডারেশন। দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বসর মাইজভাণ্ডারী ও মহাসচিব এম এ আউয়াল এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছেন।

গত সোমবার মকবুল আহমাদ জামায়াতের নতুন আমির হিসেবে শপথ নেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের আগের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসি এবং নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়ার পর মকবুলকে আমির নির্বাচিত করে জামায়াত। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই মকবুল ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দলের অন্য শীর্ষ নেতার মতো তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনেনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, মকবুলের বিষয়ে কোনো অভিযোগ তাদের কাছে আসেনি এবং এ কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করেননি তারা।

তবে ফেনী থেকে উঠে আসা এই জামায়াতের একাত্তরের বাংলাদেশবিরোধী ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমে এরই মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ফেনী কমান্ড কাউন্সিল থেকেও বলা হয়েছে, ৭১ সালে মকবুলের ইন্ধনে হিন্দু পরিবারসহ অন্তত ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকেও তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

তরিকত ফেডারেশনের দুই নেতা বলেন, ‘এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে সরকারের উচিত, দ্রুত তার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা এবং তদন্ত সংস্থাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া।’

জামায়াতের আমিরের বঙ্গবন্ধু স্মরণকে গুরুত্ব না দেয়ার আহ্বান

নজিবুল বসর মাইজভাণ্ডারী ও এম এ আউয়াল বলেন, ‘আমির নির্বাচিত হওয়ার পরই গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের আমির মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেককেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাদের এই শ্রদ্ধায় জামায়াতের মূল চরিত্র সম্পর্কে ভুলে গেলে চলবে না।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরার জন্য জামায়াত যতদিন ক্ষমা না চাইবে যতক্ষণ পর্যন্ত এই দলকে বিশ্বাস করা হবে চরম বোকামি হবেও বলে সতর্ক করে দিয়েছে তরিকত ফেডারেশন।