আশাশুনি

শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

By daily satkhira

October 20, 2016

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে বাদী ও স্বাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাহাজ্জাহান আলী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৫ অক্টোবর‘১৬ তারিখে স্কুলের বিদ্যুৎসাহী সদস্য অনুমোদনের জন্য স্কুলের অভিভাবক সদস্যদের মনোনীত ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি আবেদন স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে প্রেরণ করা হয়। ওই আবেদনপত্রে উল্লিখিত ৩জন চেয়ারম্যান ডালিমের মনোনীত না হওয়ায় তার নিজ ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে ১৭ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে স্কুলের অফিসে থাকা অবস্থায় চেয়ারম্যান ডালিমের হুকুমে পিরোজপুর গ্রামের ওমর আলী সরদারের ছেলে রিপন সরদার, খাজরা গ্রামের কাশেম সরদারের ছেলে নওয়াব আলী সরদার, মৃত সৈলেন্দ্র ঘোষের ছেলে অসীত বরণ ঘোষ, সাধন চন্দ্র ঘোষের ছেলে পংকজ ঘোষ ও দুর্গাপুর গ্রামের আছিরুদ্দিন গাজীর ছেলে লাভলু গাজীসহ কয়েকজন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি মারপিট করে। এ সময় তারা অসীত বরণ ঘোষকে সম্পাদক করে তৈরি করা একটি রেজুলেশনপত্রে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং অফিসের আলমারী থেকে স্কুলের সীল, প্যাড, জরুরি কাগজপত্র ও শিশুদের সরকারি বিস্কুটসহ তার নিজের নামীয় একটি চেক নিয়ে আত্মসাৎ করে। পরে তারা টেনে হিছড়ে একটি মটর সাইকেলে করে চেয়ারম্যান ডালিমের বাড়িতে নিয়ে তাকে আটকে রেখে গালিগালাজ ও মারপিট করে স্কুলের চাবি কেড়ে নেয়। এসময় চেয়ারম্যান বলে, ‘তুই আমাকে চিনিস, আমি চেয়ারম্যান ডালিম, তোর মত দেড় হাত মানুষ আমার সাথে টক্কর দিস, সাতক্ষীরা-খুলনা এলাকায় আমার বিরুদ্ধে কথা বলবে এমন লোক নেই। এখনি তোকে জঙ্গি হিসেবে চালান করে দেব।’ তখন সে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে একটি চেকে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এ ঘটনার পর আশাশুনি থানায় চেয়ারম্যান ডালিমসহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর চেয়ারম্যান ডালিমসহ তার সন্ত্রাসীবাহিনীর সদস্য আনিসুর রহমান, কবির হোসেন, কুদ্দুস মোড়ল, কালাম, আজিজুর, আনারুল, মাসুদ, ছাইফুল্লাহ, আমিরুলসহ তার বাহিনী বাদী, তার পরিবারের সদস্য ও মামলার সাক্ষী কামরুল ইসলামকে অপহরণ ও হত্যার হুমকি প্রদর্শন করছে। একই সাথে মামলা তুলে না নিলে বাদীকে জঙ্গি মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। এরপর গত বুধবার পুলিশ ঘের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরে স্কুলের আলমারীর এক সেট চাবি ও স্কুলের উপবৃত্তি ফাইল, স্লিপ সংক্রান্ত ফাইল ও ভাউচার বইসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান ডালিমের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষক রাহাজ্জাহান আলী।