নিজস্ব প্রতিনিধি : আমি বিয়ে করতে চাই না, লেখাপড়া শিখতে চাই। অথচ আমার মা আমাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার জন্য খুব চাপ প্রয়োগ করছেন। আমার বয়স এখনো ১৮ হয়নি। কিন্তু আমার মা জোর করে একজন ঘের ব্যবসায়ীর সাথে আমার বিয়ে দিতে চাইছেন’- এমন অভিযোগ করে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের আসাদুজ্জামানের মেয়ে শিউলী পারভীন সুমি আরো বলেন, জন্ম সনদ অনুযায়ী আমার বয়স ১৬ বছর তিন মাস। আমার নানা বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের আলীপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামে। এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করার পর বাবার পরামর্শ অনুযায়ী নানা কাসেদ আলী গাজীর বাড়ীতে থেকে সীমান্ত আদর্শ কলেজে ভর্তি হয়ে এইচএসসি প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করছি। আমার বাবা চায় আমি লেখাপড়া করি কিন্তু মা লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। গত ১৭ নভেম্বর আমাকে জোর করে নানার বাড়ি থেকে কালিগঞ্জে নিয়ে এসেছেন। মানষিকভাবে খুব চাপ প্রয়োগ করছেন বিয়ের জন্য। আমি বিয়ে করতে চাই না। লেখাপড়া করে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাই। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে সুমির মা আফরোজা পারভীন বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়স ১৯ বছর হয়েছে। সার্টিফিকেটে দুই বছর কম দেওয়া হয়েছিলো। জোর পূর্বক অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক মেয়ে বিয়ের আগে এমন করে। তবে তাকে জোর করা হচ্ছে না। তাছাড়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও সুমির বিয়েতে সম্মতি আছে। বিষয়টি অবহিত করা হলে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম মঈনুদ্দীন হাসান বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’