ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামে এক যুবক যুবতীকে আটক করেছে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের শুইলপুর গ্রামের মোরষেদ আলী গাজীর ছেলে হাচানুজ্জামান (২৭) ও তারালী ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের দাউদ কারিকরের মেয়ে বিলকিস পারভীন (১৮)। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বিলকিস ঢাকায় একটি পোশাক কারাখানাতে চাকুরি করত এবং ঢাকায় একই এলাকায় বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিল হাচান। দুজনে পূর্ব পরিচিতি হওয়ায় অল্প দিনের মধ্যে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের অনুমতি ছাড়া ঢাকাতে ৭ মাস আগে কাজী অফিসে দুজনে বিয়ে করে। বাসা ভাড়া নিয়ে ৫ মাস সংসার করার পর বিলকিসকে ঢাকায় রেখে বাড়িতে চলে আসে হাচান। বাড়িতে এসে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সে। একপর্যায়ে গত ১ মাস আগে বিলকিস ঢাকা থেকে তার নিজের বাড়িতে চলে এসে হাচানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জাফরপুরে বিলকিসের অনুরোধে তাদের বাড়িতে দেখা করতে আসে হাচান কিন্তু বিয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। এসময় তাদের মধ্যে বাকবিত-া শুনে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসে। স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসায় করতে ব্যার্থ হয়ে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সুবীর দত্তকে অবগত করেন। ঘটনাস্থল থেকে থানার উপ-পরিদর্শক হেকমত আলী তাদের উভয়কে আটক করে থানাতে নিয়ে আসে। ভিকটিম বিলকিস বলেন ঢাকাতে কাজী অফিসে নিয়ে ৭ মাস আগে আমাকে বিয়ে করে ওই প্রতারক এখন বলছে আমাকে বিয়ে করিনি। বিয়ের কাগজ ও আমাকে দেয়নি এখন প্রতারণা করছে আমার সাথে। থানার উপ-পরিদর্শক হেকমত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তাদেরকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে তবে মেয়ে বিয়ের প্রমাণ দেখাতে পারেনি ছেলে বলছে তাকে বিয়ে করেনি। দুপক্ষের মিমাংসার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে তাছাড়া স্থানীয়রা আটক করে থানায় দিয়েছে। কেউ লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে করেনি তাহলে মিমাংসা ছাড়া আমরা আর কি করতে পারি? । এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত পারিবারিক ভাবে থানায় মিমাংসার চেষ্টা চলছিল বলে জানা যায়।