খেলা

রংপুরকে হারিয়ে খুলনার হ্যাটট্রিক জয়

By Daily Satkhira

November 24, 2017

শেষ পর্যন্ত দারুণভাবে লড়াই করেছিল রংপুর রাইডার্স। খুলনার দেওয়া ১৫৮ রানের জবাবে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই পৌঁছে যায় মাশরাফির দল। তবে শেষ দিকে জুনায়েদ খানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ৯ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটানস। খুলনার সংগ্রহ করা ১৫৮ রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৪৯ রানে থামে রংপুর রাইডার্স।

খেলতে নেমে শুরুটা ভয়াবহ হয়েছিল রংপুরের। ২০ রানের মধ্যে দলের প্রধান দুই ভরসা ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ক্রিস গেইলকে হারিয়ে বসে রংপুর রাইডার্স। আজ মাত্র দুই রান করেন ম্যাককালাম। আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান গেইল বিদায় নেন ৯ বলে ১৬ রান করে।

দলীয় ২৯ রানে মোহাম্মদ মিঠুন আউট হলে একেবারে খাদের কিনারে নেমে যায় মাশরাফির দল। এরপর ফজলে মাহমুদ আরো বিপদে ঠেলে দেন দলকে। এখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দেশের উত্তরের দলটি। রবি বোপারা ও তরুণ ক্রিকেটার নাহিদুল হক মিলে যোগ করেন ১০০ রান।

৩৪ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন নাহিদুল। পরে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বোপারাও। তবে শেষ ওভারগুলোতে বোলারদের ওপর সেভাবে শাসন করতে পারেননি তাঁরা। ৪৩ বলে ৫৮ রান করেন নাহিদুল। ৪৩ বলে ৫৯ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন রবি বোপারা। খুলনার আফিফ দেন দুটি উইকেট।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে খুলনা টাইটানস।

ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই রিলে রুশোকে হারায় খুলনা। ৪ বলে ১১ রান করেন রুশো। তৃতীয় ওভারে আফিফ হোসেন ধ্রুব ফিরলে চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ইনিংসটা সামলানোর দায়িত্ব নেন। ২০ রানের বেশি করতে পারেননি শান্ত। দলীয় ৫৯ রানে মাহমুদউল্লাহকে একা রেখে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।

এরপর লড়াইটা একাই নিজের কাঁধে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকাটা সচল রাখেন তিনি। ২০ বলে ১৬ রান করে পুরান ফিরলেও হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ১৩০ রানে তিনি যখন ফিরে যান, তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩৬ বলে ৫৯ রানের দারুণ একটি ইনিংস।

এরপর কার্লোস ব্রার্থওয়েট-আরিফুল হকরা স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা করলেও ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা টাইটানস। ব্রার্থওয়েট ১১ ও আরিফুল ১৬ রান করেন। রংপুরের রুবেল তিনটি ও মালিঙ্গা নেন দুটি উইকেট।