আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা ফেরতের চুক্তিকে ‘স্টান্টবাজি’ বলছে এইচআরডব্লিউ

By Daily Satkhira

November 24, 2017

নির্যাতনের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে ‘অ্যারেঞ্জমেন্ট অন রিটার্ন অব ডিসপ্লেসড পারসন্স ফ্রম রাখাইন স্টেট’ শীর্ষক এ সমঝোতা সই হয়। তবে এই চুক্তিকে ‘স্টান্ট’ বলে অভিহিত করেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের শীর্ষ এক কর্মকর্তা। অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম ব্রিসবেন টাইমস ও সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে সে মন্তব্য উঠে এসেছে।

এ ব্যাপারে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির শরণার্থী অধিকার বিষয়ক পরিচালক বিল ফ্রেলিক বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভস্ম হয়ে যাওয়া গ্রামগুলোতে বার্মা এখন তাদের উন্মুক্ত বাহুডোরে ফেরত নেবে এমন ধারণা হাস্যকর। ’ তিনি আরও বলেন, ‘পাবলিক রিলেশনের একটি স্টান্টবাজিতে সমর্থন না দিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের এটা স্পষ্ট করা উচিত যে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষন ছাড়া কোন প্রত্যাবাসন হবে না। ফেরত যাওয়া ব্যক্তিদের ক্যাম্পে রাখার ধারণার ইতি টানতে হবে। এছাড়া, জমিজমা ফেরত দেয়া এবং ধংস করা বাড়িঘর, গ্রাম পূনর্গঠনসহ আরও অনেক শর্ত দিতে হবে। ’

বিল ফ্রেলিক বলেন, ‘এগুলো করা হলেও, বার্মিজ আর্মি যদি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কয়েক দশকের নির্যাতন ও বৈষম্যের চর্চাকে পাল্টানোর বিরাট কাজটা শুরু না করে, তাহলে স্বেচ্ছায় ফেরত যেতে বহু রোহিঙ্গার মধ্যে পর্যাপ্ত আস্থা তৈরি করা কঠিন হবে। ’

এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার টার্নবুল সরকার প্রথববারের মতো রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর হওয়া নৃশংসতাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনকে জাতিগত নিধনের সমতুল্য বিভৎস অপরাধ আখ্যা দেয়ার একদিন পর অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়াকে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া বার বার বলে আসছে, গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধে দোষীদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। আর আমরা জাতিগত নিধনযজ্ঞের খবর নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ’

উল্লেখ্য, বিশ্বচাপের নতি স্বীকারের পর বুধবার বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উচ্চ পর্যায়ের দুই দিনের বৈঠক শুরু হয় মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোয়। পরে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দফতরের মন্ত্রী কিয়াও তিন্ত সোয়ে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।