বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আবারও মাশরাফি বিন মর্তুজার ব্যাটে জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। শেষ চারে উঠার লড়াইয়ে মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস এই জয় পান গেইল-মাশরাফিরা।
এই জয়ের ফলে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারেই রয়েছে রংপুর। নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে রংপুরের সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লা রয়েছে তিন নম্বরে। এছাড়া ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে খুলনা এবং ১১ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে ঢাকা।
আগের ম্যাচে তিনে নেমে ১৭ বলে খেলেন ৪৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। সেদিন স্বয়ং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ক্রিস গেইলই তার ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ হন। মঙ্গলবার বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচেও ব্যাট হাতে ঝড় তুলে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক। এদিন যখন ব্যাটিংয়ে নামের তখন রংপুরের অবস্থা যে খুব একটা ভালো ছিল তা বলা যাবে না। তবে মাশরাফি ছিলেন বলেই রংপুরের পক্ষেই জয়ের সম্ভাবনা ছিল বেশি। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২০ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে সেই ব্যবধান কমিয়ে আনেন মাশরাফি। পরের বলগুলো থেকে অবশ্য সিঙ্গলের বেশি নিতে পারেননি মাশরাফি ও নাহিদুল ইসলাম। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার পড়ে ৯ রানের।
২০তম ওভারে আবারও মাশরাফি। ইংলিশ পেসার টিম ব্রেসনানের প্রথম ডেলিভারিটি ছিল ওয়াইড। দ্বিতীয় ডেলিভারি থেকে কোনো রান নিতে পারেন মাশরাফি। তবে তৃতীয় ডেলিভারি বা ওভারের দ্বিতীয় বৈধ বলটি ছক্কা হাঁকিয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন ম্যাশ। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাচ ড্র করেন। তবে নন স্ট্রাইক প্রান্তে চলে যাওয়ায় উইনিং রানটি এসেছে নাহিদুল ইসলামের ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত ১০ বলে ২ ছক্কার সাহায্যে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন মাশরাফি। অন্যদিকে, ২ চারের সাহায্যে ৭ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন নাহিদ।
অবশ্য রংপুরের জয়ে ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রয়েছে ওপেনিংয়ে নামা জিয়াউর রহমানের। শুরুতে ক্রিস গেইল সাজঘরে ফিরলেও তার শূন্যতা বুঝতে দেননি এই অলরাউন্ডার। নাবিল সামাদের বলে আউট হওয়ার আগে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ১৮ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। এছাড়া ম্যাচ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ব্রেন্ডন ম্যাককালামেরও। ৩৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় তিনি করেন ৪৪ রান। ১৭ বলে ১৮ রান আসে মোহাম্মদ মিথুনের ব্যাট থেকে। এছাড়া, ২৪ বলে ৩৩ রান করেন রবি বোপরা। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে এক উইকেট তুলে নেওয়া আবুল হাসান সিলেটের সবচেয়ে সফল বোলার।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সিলেট। তবে বাবর আজম ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে নাসির বাহিনী। রংপুরের হয়ে নাজমুল হাসান অপু ১৮ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।