মিয়ানমার সফর শুরু করেছেন খ্রিস্টান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। সফরের আগেই মিয়ানমার সরকার পোপকে জানিয়ে দেয়, সফরে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। এখন পর্যন্ত সেটাই মেনে চললেন। দেশটির রাজধানী নেপিদোতে দেওয়া ভাষণে একবারও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি তিনি।
নেপিদোতে দেওয়া ভাষণে পোপ বলেছেন, ‘ধর্মীয় ভিন্নতাকে বিভেদ ও অবিশ্বাসের উৎস করা উচিত নয়।’ তিনি জানান, প্রয়োজন একতা, ক্ষমাশীলতা, সহনশীলতা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বন্দ্ব, বিরোধ এসব শব্দ ব্যবহার করেছেন পোপ। তবে নিজের বক্তব্যে একবারও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি তিনি।
আজ মঙ্গলবার মিয়ানমারের নেপিদোতে বক্তব্যে দেন পোপ। চারদিনের সফরে গতকাল সোমবার মিয়ানমারে পৌঁছান।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও বিরোধ চলছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা ও ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিজ্ঞ মনোভাবের মাধ্যমে শান্তিপ্রতিষ্ঠা ও জাতীয় একতা প্রতিষ্ঠা করা যায়।’
সফরের আগেই মিয়ানমার সরকার পোপকে অনুরোধ জানায় ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করার।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ২৫ আগস্টের পর রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মিয়ানমারে চলছে ‘জাতিগত নিধন’।
কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা দেশে প্রবেশ করে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের দপ্তর জানিয়েছে এখন পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। ওই সংস্থার মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান জানিয়েছেন, ২৫ আগস্টের পর আট লাখের মতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
মিয়ানমার সফর শেষে বাংলাদেশে আসবেন পোপ ফ্রান্সিস। আগামী ৩০ নভেম্বর তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসবেন তিনি।