ফিচার

শ্যামনগরে চোরাই পথে আসছে ভারতীয় বাগদার ডিম; ক্ষতিগ্রস্ত ঘের ব্যবসায়ীরা

By Daily Satkhira

November 29, 2017

শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরে অসাধু সিন্ডিকেট চোরাই পথে ভারত থেকে বাগদার ডিম এনে পোনা উৎপাদন করে মনোপলি ব্যবসা করে থাকে। এর ফলে বাঁধাগ্রস্ত হয় সরকারি সিদ্ধান্ত, ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে ঘের ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, সরকার প্রতিবছর ২০ জুন থেকে পরবর্তী ৬৫ দিন সাগর থেকে মাদার চিংড়ি আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে যা ২০ জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকে। সাগরে মাদার চিংড়ি আহরণ বন্ধ থাকায় দেশের সব বাগদা চিংড়ি হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদনের কাজ ২০ জুন থেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে। বাগদা চিংড়ি চাষিদের থেকে জানাজায়, চোরাই পথে আসা ভারতীয় ডিমে উৎপাদিত পোনা খুবই দুর্বল ও নিম্নমানের। এমনকি কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এসব পোনা ঘেরে ছাড়লে ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। চিংড়ি চাষিরা এ পোনার বাজারজাত বন্ধে পদক্ষেপ নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং চিংড়ি শিল্পকে কালো হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন ঘের ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানাযায়, অতি নিম্নমানের ডিমে ফুটানো মাছের রেনু ঘেরে দেওয়ার কারনে তারা পথের ফকির বুনে গেছে। এ পোনা ঘেরে ছাড়ার ৪০/৪৫ দিন পর থেকে মড়ক শুরু হয়। বাগদা চাষিদের এ পোনা ছাড়ার জন্য উদবুদ্ধ করে বিভিন্ন হ্যাচারির পক্ষ থেকে জানায়, এই এলাকার নদির পানিতে পোনা প্রসেসিং করায় ভাল বাগদা উদপাদন হবে বলে আমাদের ধোকা দিচ্ছে। সাতক্ষীরা অঞ্চলের একটি অসাধু সিন্ডিকেট চোরাই পথে ভারতের মাদ্রাজ ও কলকাতা থেকে সাতক্ষীরার ভোমরাসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাগদার ডিম/নপলি দেশে আনা হয়। পরবর্তীতে অসাধু সিন্ডিকেট এ ডিম দিয়ে পোনা উৎপাদন করে অতিরিক্ত মূল্যে চাষীদের কাছে বিক্রি করে থাকে। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় খামারি/চাষীরা বাধ্য হয়ে এসব পোনা কিনে প্রতারিত হয়ে থাকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শ্যামনগরের উপজেলার রেডিয়েন্ট হ্যাচারী, খুলনা হ্যাচারী, নিউ যমুনা হ্যাচারী, খাজা ওয়ার্ছী হ্যাচারী, আরব হ্যাচারীর মালিকরা অধিক মুনাফা অর্জন ও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সাধারণ মানুষ ও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অল্প দিনে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে চিংড়ি শিল্পকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। স্থানীয় সুশীল সমাজের মানুষেরা আগামী মৌসুমে যাতে করে এভাবে আবারো চিংড়ি শিল্প হুমকির মুখে না পড়ে এ জন্য জেলা প্রশাসন, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।