দ্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এক অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী তিনি বিষ খেয়েছেন বলার পর আপিল কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আদালতের কাঠগড়ায় সাবেক যে ছয়জন বসনিয় ক্রোয়াট রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাকে তোলা হয়েছে তাদের একজন এই অভিযুক্ত স্লোবোদান প্রালিয়াক।
পূর্ব মোস্তারে অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে তাকে বিশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায়ে তার কারাদণ্ড বহাল রাখার ঘোষণা শোনার পর মি: প্রালিয়াক বিচারককে বলেন, ”আমি বিষ খেয়েছি”।
ইয়ুগোশ্লাভ যুদ্ধাপরাধ মামলায় চূড়ান্ত আপিলের শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয়েছিল এই ছয়জন অভিযুক্তকে। ‘গ্লাসটা সরাবেন না’
মি: প্রালিয়াক উঠে দাঁড়ান এবং মুখের কাছে হাত তোলেন, মাথাটা পেছনদিকে এমনভাবে হেলান যাতে মনে হয় তিনি গেলাস থেকে তরল কিছু পান করছেন।
বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি সঙ্গে সঙ্গে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে দেন এবং অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়।
বিচারক বলেন, ”ঠিক আছে, আমরা স্থগিত…আমরা স্থগিত…দয়া করে পর্দা টেনে দিন। যে গ্লাস থেকে তিনি কিছু একটা পান করলেন সেটা কেউ সরাবেন না। ”
পর্দা টেনে দেয়ার আগে আদালত কক্ষে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে জানান দ্য হেগে বিবিসির সংবাদদাতা অ্যানা হলিগান।
মি: প্রালিয়াকের আইনজীবী, নাতাশা ফ্যাভু-ইভানোভিচকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বার্তা সংস্থা জানায়, ”আমার মক্কেল বলেছে আজ সকালে সে বিষপান করেছে।
কোন্ অপরাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বসনিয় ক্রোয়াট প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রথম সারির সৈন্যদের সাবেক অধিনায়ক মি: প্রালিয়াককে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জাতিসংঘ যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ে বলা হয় ১৯৯৩ সালের গ্রীষ্মে সৈন্যরা প্রোজোর এলাকায় মুসলমানদের যখন ব্যাপক ধরপাকড় করছিল, তখন খবর পেয়েও তিনি তা বন্ধ করার জন্য কোন উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হন।
মুসলিমদের হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এবং পূর্ব মোস্তারে মসজিদ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনার খবর জানার পরেও তিনি কোনরকম ব্যবস্থা নেননি।