শ্যামনগর

শ্যামনগরে চিকিৎসকের দায়িত্বহীনতা : অপারেশনের সাড়ে ৩ মাস পর পেটের ভিতর থেকে গজ উদ্ধার

By daily satkhira

October 22, 2016

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্যামনগরে চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু পথের যাত্রী এক গৃহবধু। বর্তমানে সে সাতক্ষীরা ফারজানা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ছিজারের সাড়ে ৩ মাস পরে পেটের ভিতরে পাওয়া গেছে গজ। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসক আনিসুর রহমানের দায়িত্বহীনতার কারণে এ ধরনের সমস্যা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগির স্বাজনরা দাবি করেছেন। ওই গৃহবধু শ্যামনগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী হোসনে আরা(২০)। তবে খুলনা মেডিকেলের সহকারী অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন অপারেশনের মাধ্যমে পেটের ভেতর থেকে গজ বের করার পর কিছুটা সুস্থ্য রয়েছেন হোসনে আরা। ভুক্তভোগির মা তাছলিমা খাতুন জানান, গত ২১ রমজানে আমার মেয়ের ডেলিভারীর সময় হলে শ্যামনরগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ডা: আনিসুর রহমানের তত্ত্বাবধায়নে ভর্তি করি। ডা: আমার মেয়ের অপারেশন করেন। কিন্তু অপারেশনের পর থেকে আমার মেয়ে পেটে প্রচন্ড ব্যাথ্যা অনুভব করতো। এবিষয়ে ডা: আনিসুর রহমানের কাছে গেলে কোন সমস্যা নেই বলে জানান। এদিকে মেয়ের অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকলে সাতক্ষীরায় এসে ডা: সংকর কুমারের পরামর্শ গ্রহণ করি। তিনি বলেন ইনফেকশন হয়েছে। অপারেশন করা লাগবে। এখবর ডা: আনিসুর জানতে পেরে আমাদের ফোন করে বলেন, আমার কাছে আসেন আমি ঠিক করে দেব। এরপর তিনি পুনরায় অপারেশন করেন। কিন্তু মেয়ের কোন উন্নতি না হলে খুলনা মেডিকেলের সহকারী অধ্যাপক ডা: মনোয়ার হোসেনের কাছে নিয়ে যাই। তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলেন অপারেশন করতে হবে। সে মোতাবেক গত ১৪ অক্টোবর সাতক্ষীরার ফারজানা ক্লিনিকে আমার মেয়ের অপারেশন করেন ডা: মনোয়ার হোসেন। অপারেশনের পর তিনি জানান পেটের ভিতরে গজ ছিলো যে কারণে আপনার মেয়ের এই অবস্থা হয়েছিল। তবে আর কিছুদিন এভাবে থাকলে হয়ত তাকে আর বাঁচানো যেত না। অপারেশনের মাধ্যমে গজ বের করা হয়েছে। সুস্থ্যহতে একটু সময় লাগবে। বিষয়টি শোনার পর আমরা হতাশ হয়েছিলাম। আমার মেয়ে যাতে সুষ্ঠু থাকে আর তার নবজাতকের কোন সমস্যা না হয় কারণে ওই চিকিৎসক আনিসুরের সকল শর্ত মেনে তার কাছে ছিজার করেছি। অথচ এ কি। আর কিছুদিন থাকলে হইতে আমার মেয়ের লাশ আমাকেই দফন করতে হতো। তিনি ওই চিকিৎসক আনিসুর রহমানের দায়িত্বহীনতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন। এব্যাপারে ওই চিকিৎসক আনিসুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার পেটের ভিতর থেকে গজ পাওয়া যায়নি। যেটা হয়েছে তার পেটের নাড়ী মোটা হওয়ার কারণে তার সমস্যা হয়েছিল। ওই চিকিৎসকের সাথে আমার কথা হয়েছে। তবে রোগির কথামত নিউজ না করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসার(টিএইসও) ডা. হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এধরনের ঘটনা ঘটনার কথা না। তারপরও অনেক ক্ষেত্রে হতে পারে। আর যদি হয়ে থাকে আমরা তদন্ত করে তার ব্যবস্থা নেব।