আন্তর্জাতিক

স্ত্রী ও তার প্রেমিকের মাথা কেটে জেলে স্বামী

By Daily Satkhira

December 01, 2017

প্রতিবেশি যুবকের সঙ্গে গোপনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল পশ্চিম বঙ্গের বাকুড়া জেলার ভৈরব কুণ্ডুর স্ত্রী। স্বামীর চোখে ধুলো দিয়েই চলছিল সম্পর্ক। তা গড়ায় যৌনতাতেও। বাড়ির চৌহদ্দি ছেড়ে গোয়াল ঘরে বয়সে ৪ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হয় ওই নারী। কিন্তু ওইদিন হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্বামী। তারপরই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনি ওই ব্যক্তি। স্ত্রী ও তার প্রেমিকের মুণ্ডচ্ছেদ করেন।

বাকুড়া গঙ্গাজল ঘাঁটি থানা এলাকার ঘটক গ্রামের এই ঘটনায় বছর দুয়েক আগে বেশ শোরগোল ফেলেছিল। অবশেষে বাঁকুড়া আদালত আজীবন কারাবাসের সাজা দিল ওই ব্যক্তিকে।

সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ভৈরব কুণ্ডু। স্ত্রী জ্যোৎস্নার সঙ্গে সুখের সংসারই ছিল বলা যায়। কিন্তু তাতে বিষ ঢালে স্ত্রীর অবৈধ প্রেম। স্ত্রী যে প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি ওই ব্যক্তি। এদিকে ভেতরে ভেতরে সম্পর্ক গড়িয়েছিল অনেকটাই।

জানা গিয়েছিল, পথিক ঢাং নামে ওই যুবক বয়সে জ্যোৎস্নার থেকে বছর তিনেকের ছোট ছিল। কিন্তু বয়স সম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। স্বামীকে অন্ধকারে রেখেই গোপনে সম্পর্ক বজায় রেখেছিল জ্যোৎস্না। একসময় তা গড়ায় যৌনতাতে। ঘটনার সূত্রপাত সেখানেই।

ভৈরবের অভিযোগ ছিল, পথিকের সঙ্গে জ্যোৎস্নাকে যৌনমিলনের সময় হাতনাতে ধরে ফেলে সে। স্বামীর চোখে ধুলো দিতে বাড়ির গোয়ালঘরকে যৌনতার জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছিল অবৈধ প্রেমিক যুগল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে যায় ভৈরবের হাতে। স্ত্রীকে ওই অবস্থায় দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি ভৈরব। ধারাল অস্ত্রের কোপে হত্যা করেন স্ত্রীকে। তাঁর রোষ থেকে রেহাই পায়নি পথিকও। তারও একই পরিণতি হয়।

ঘটনার পর থেকে বেশ কিছুদিন পলাতক ছিল ভৈরব। তদন্তে নেমে ভৈরবকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। বেশিদিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেনি ভৈরব। ধরা পড়ে পুলিশের জালে। শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। প্রায় বছর দুয়েক পর সাজা ঘোষণা হল ভৈরব কুণ্ডুর। স্ত্রী ও প্রতিবেশী যুবককে খুনের দায়ে ভৈরবকে দোষী সাব্যস্ত করে বাঁকুড়া আদালতের বিচারক সুকুমার সূত্রধর। আজবীন কারাবাসের দণ্ড দেওয়া হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।