খেলা

সিলেটের স্বপ্ন ভেঙে শেষ চারে মাশরাফীর রংপুর

By Daily Satkhira

December 04, 2017

ম্যাচ ছিল খুলনার বিপক্ষে রংপুরের। সঙ্গে হিসাব-নিকাশের সঙ্গী ছিল সিলেট সিক্সার্স। কারণ এই ম্যাচে রংপুর হেরে গেলেই পরের পর্বে খেলার সম্ভাবনা বেঁচে থাকতো সিলেটের। সেই ম্যাচটি ১৯ রানে জিতে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে উঠে গেছে মাশরাফীর রংপুর রাইডার্স। আগেই শেষ চার নিশ্চিত করা খুলনাকে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানেই থাকতে হচ্ছে।

সমান (১১টি) ম্যাচ শেষে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম সিলেট। নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা জিতলে ১১ হবে। তাতেও তাদের পরের রাউন্ডে খেলা হচ্ছে না। পরের পর্বের অন্য দুটি দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৩। দুই নম্বরে থাকা ঢাকার পয়েন্টও ১৩। তবে তারা ম্যাচ খেলেছে একটি বেশি। প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দল ১২টি করে ম্যাচ খেলবে।

রোববার মিরপুরে আগে ব্যাট করে ১৪৭ রানের পুঁজি গড়ে রংপুর। মোহাম্মদ মিঠুন শেষ ওভারে শফিউলকে তিন ছক্কা মেরে লড়াইয়ের সংগ্রহ এনে দেন দলকে। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানে থামে খুলনা।

খুলনার শুরুটা ভালোই হয়। শান্ত জীবন পাওয়ার পর দলকে ৬০ রান পর্যন্ত নিয়ে যান। নিজে ফেরেন ১৮ বলে ২০ করে। এরপর ক্লিঞ্চার ৪৫ বলে ৪৪ করে দলকে লড়াইয়ে রাখেন। চারটি চার এবং একটি ছয়ের মারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। চট্টগ্রামে এক ম্যাচে অর্ধশতক (৫৪) পাওয়া আফিফ হোসেন এদিন ৮ রানে ফেরেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অধিনায়ক রিয়াদ (৬) নাহিদুলের বলে বোল্ড হলে কিছুটা বিপাকে পড়ে খুলনা।

শেষ দিকে ক্যারিবীয় তরুণ আর্চার ১১ বলে ১৯ করে খুলনার জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেন। কিন্তু সতীর্থর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে রানআউট হয়ে যান। তিনি ফিরে গেলেই মূলত পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে যায় খুলনা।

দুই ওভারে চার রান খরচায় দুই উইকেট নিয়ে রংপুরের সফল বোলার বোপারা। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সোহাগ গাজী, নাহিদুল, নাজমুল ইসলাম এবং উদানা। মাশরাফী উইকেট না পেলেও দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। চার ওভারে ২১ রান দেন।

প্রথম ইনিংসে রংপুরকে লড়াইয়ের স্কোর গড়ে দেন ম্যাচসেরা মিঠুন। ৩৫ বলে চার ছক্কা ও দুই চারে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। টি-টুয়েন্টিতে এটিই এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের প্রথম ফিফটি। দুই বাউন্ডারিতে ১১ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

গেইল-ম্যাককালাম জুটি সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছিল না বিপিএলের শুরু থেকেই। আগের ম্যাচ থেকে ম্যাককালামকে তিনে নামিয়ে জিয়াউর রহমানকে করা হয় গেইলের সঙ্গী। সেই ম্যাচের মতো এবারও ব্যর্থ হওয়ায় শুরুর জুটি পায়নি রংপুর। ৮ রান করে জিয়া ফিরে যান আবু জায়েদকে উইকেট দিয়ে। ম্যাককালামও পারলেন না ইনিংস বড় করতে। ১১ বলে ১৫ রান করেই ফিরে যান এই কিউই ব্যাটসম্যান।

আগের দুই ম্যাচে রান না পাওয়া গেইল ব্যাটে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়ে থেমে যান ৩৮ করে। ২৭ বলের ইনিংসটিতে চারটি চার ও দুটি ছক্কা।

খুলনার পেসার জফরা আরচার নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন শফিউল, আবু জায়েদ রাহি, ব্র্যাথওয়েট ও বিপিএলে অভিষিক্ত পাকিস্তানি লেগস্পিনার মোহাম্মদ ইরফান।