ফিচার

ভোমরা স্থলবন্দরে আমাদানীকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ

By Daily Satkhira

December 05, 2017

আসাদুজ্জামান : ভারত রপ্তানী মূল্য বাড়িয়ে দেয়ায় পেয়াজের আমদানী অর্ধেকে নেমে এসেছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ভোমরা স্থল বন্দরে আমাদানীকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুন ছাড়িয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এলসি সংশোধন করে নতুন দামে পেয়াঁজ আনলে তারা লোকসানে পড়বেন। অন্যদিকে, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে বেশী বিপাড়ে পড়েছেন ভিন্ন আয়ের মানুষেরা। জানা গেছে, ভারতে পেঁয়াজের রপ্তানী মূল্য টন প্রতি সাড়ে ৪’শ মার্কিন ডলার থেকে হঠাৎ সাড়ে ৮’শ ডলার নির্ধারন করায় বিপাকে পড়েছে ব্যাবসায়ি ও সাধারণ মানুষ। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ভোমরা স্থল বন্দরে আমাদানীকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে। ক্ষতির আশংকায় ভোমরা বন্দর ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমাদানী কমিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে বেকার হয়ে পড়েছে ড্রাইভার ও বন্দর সংশ্লিষ্ঠ শ্রমিক কর্মচারীরা। ভোমরা স্থলবন্দর সুত্রে জানা যায়, ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে গত এক সপ্তাহ আগে গড়ে প্রতিদিন ১’শ থেকে দেড়’শ ভারতীয় পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রবেশ করতো। কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫টিতে। ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার পরিতোষ মন্ডল জানান, সে দেশের খুচরা বাজারে এখন পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সাতক্ষীরা বড় বাজার ব্যাবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রওশন আলি জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে। গত দুই সপ্তাহ আগে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এদিকে, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ক্ষতির আশংকায় ব্যবসায়ীরা আমদানী কমিয়ে দিয়েছেন। ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু জানান, হঠাৎ করে ডলারের মুল্যে বৃদ্ধি পাওয়ায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ভোমরা বন্দরে পেঁয়াজের আমদানি কমে গেছে। পেঁয়াজের মুল্যে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বন্দরে ব্যাবসায়িদের পাশাপাশি শ্রমিক ও ড্রাইভাররা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন বলে তিনি আরো জানান। ভোমরা স্থল বন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, গত অক্টোবর মাসে এ বন্দর দিয়ে ২৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সেখানে নভেম্বর মাসে প্রায় ২৭ হাজার ৫’শ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে, তুলনা মূলক ভাবে আগের থেকে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানী কিছুটা কমে গেছে বলে তিনি আরো জানান।