রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলার সুবলং নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ির পাশেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা আবদুল বাসেত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) জানান, ‘মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে জুরাছড়ি উপজেলার সুভলং খাগড়াছড়ি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তারা ফিরে আসার আগপর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।’ এই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মার্মকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এই প্রসঙ্গে বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ ইকবাল জানান, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে বাসায় যাওয়ার পথে ৫/৬জনের একদল যুবক লাঠি-শোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় তার মাথায় ও কানে জখম হয়। আহত রাশেদ মাহমুদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।’
এদিকে, দুই ঘটনার জন্যই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর। তিনি জানান, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে তারাই অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।’ দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-এর সহ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা বলেন, ‘ঘটনাটি এই মাত্র শুনলাম। তবে এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জেএসএস সম্পৃক্ত থাকতে পারে না।