আশাশুনি

আশাশুনিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ধান বীজ বিক্রয়ের অভিযোগ

By Daily Satkhira

December 06, 2017

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ধানের বীজ বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বীজ কিনে একাধিক কৃষক ভিজানোর পর কোলা না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। উপজেলার কাদাকাটি ও বুধহাটা বাজারে ডিলার ও বীজ বিক্রেতারা ব্র্যাক ও বিএডিসির পলি প্যাকে প্যাকেটজাতকৃত ধানের বীজ বিক্রয় করছেন। হাই ব্রিড ও এসএল-৮ এইচ, সুপার হাইব্রিড জাতের এক কেজি করে প্যাকেটের ধান বীজ এখন এলাকার সকল ডিলার ও সার-কীটনাশক বিক্রেতাদের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। এসব দোকানে বিএডিসি সরবরাহকৃত প্যাকেটে উৎপাদন ও মেয়াদ উর্ত্তীর্ণের তারিখ দেখা যায় এক বছর আগে শেষ হয়েগেছে। এই তারিখের উপর কাগজের নতুন করে ছাপানো স্টিকার লাগিয়ে পুরনো প্যাকেটের ধানবীজ বিক্রয় করা হচ্ছে। এই মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ ধান ক্রয় করে ধান ভিজিয়ে কোলা না হওয়ায় চাষীদের মাথায় হাত উঠে গেছে। কাদাকাটি গ্রামের কৃষক মৃত কেশব মন্ডলের পুত্র শিবপদ, পুলিন মন্ডলের পুত্র শংকর, তারক মন্ডলের পুত্র হরেকৃষ্ণ, খগেন্দ্র রায়ের পুত্র গাংগুলি, আরার গ্রামের মৃত ছবেদ মোড়লের পুত্র আয়ুবসহ এলাকার বহু চাষী জানান, তারা বিএডিসির উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ বীজ ধান ক্রয় করে ভিজিয়ে কোলা তৈরি করতে পারেননি। আবার কেউ কেউ বীজ তলায় ধান ফেলেও ধান গজায়নি। ফলে তাদের হাজার হাজার টাকার ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি সময় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। এব্যাপারে ডিলার বিভাস দেবনাথ জানান, তিনি মেয়াদ উত্তীর্ণ ঐ প্যাকেট দুটি রেখে দিয়েছেন এবং ক্রেতাদের দেখাচ্ছেন যেন তারা ঐ বীজধান ক্রয় না করেন। কিন্তু বাজারে কমমূল্যে ঐ ধানবীজ সহ আরো কিছু কমমূল্যের বীজ ধান বিক্রয় করা হচ্ছে। ফলে চাষীরা ঠকছে। এব্যাপারে সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানান, বিএডিসি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং তাদের সরবরাহকৃত বীজ সকল প্রকার পরীক্ষা নীরিক্ষার পর বাজারজাত করা হয়। সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ সরবরাহ করার সুযোগ নেই। কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্টিকার লাগানো ধানবীজের প্যাকেট সংগ্রহ করেছি, পরীক্ষা নীরিক্ষার পর বলতে পারবো কৃষকদের ত্রুটি না বীজের ত্রুটি। বিএডিসি ডিডি লিয়াকত আলি ও এডি আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বললে তারা জানান, তাদের গত বছরে অব্যবহৃত ৫০ সহ¯্রাধিক প্যাকেট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে স্টিকার লাগিয়ে বীজধান বাজারজাত করা হয়েছে। এগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ নয়।