আন্তর্জাতিক

ইয়েমেনে সংঘর্ষে নিহত ২৩৪, হুতিরা আরো সংহত

By Daily Satkhira

December 06, 2017

ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহকে হত্যার পর দেশটিতে সহিংসতা ও সংঘর্ষ আরো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। সালেহর অনুসারীদের সঙ্গে হুতি বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে দরিদ্র এই মুসলিম দেশটির হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগতই বাড়ছে।

সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দেশটির রাজধানী সানায় ২৩৪ জন নিহতের তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রস (আইসিআরসি)। সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, এ সময়ে আহত হয়েছে আরো প্রায় চারশ মানুষ, যাদের মধ্যে ৩৮৪ জনের আঘাতই গুরুতর।

বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে আইএএনএস এসব তথ্য দিয়েছে। রেড ক্রসের আঞ্চলিক কর্মকর্তা রবার্ট মারডিনি গতকাল মঙ্গলবার এক টুইটে বলেছেন, ‘সংস্থার কর্মীরা হাসপাতালে ওষুধ, শল্যচিকিৎসার সরঞ্জাম ও জ্বালানি সরবরাহসহ যা যা করা দরকার, সবই করছে।’

গত সোমবার রাজধানী সানাতে হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় সাবেক সুন্নি প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহ নিহত হন। শিয়াপন্থী হুতি বিদ্রোহীদের পেছনে ইরানের সমর্থন রয়েছে বলেও গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে। সানার কেন্দ্রে অবস্থিত আলি আবদুল্লাহ সালেহের বাসভবন উড়িয়ে দেয় হুতি বিদ্রোহীরা।

মৃত্যুর একদিন আগে গত রোববার সালেহ হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধরত সৌদি জোটের প্রতি আলোচনার আহ্বান জানান। তিনি দেশটিকে হুতি বিদ্রোহীদের হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বানও জানান। তাঁর এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানায় সৌদি আরব এবং রাজধানী থেকে বিতাড়িত দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদি। তিনি এখন বন্দরনগরী অডেনে বসবাস করছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, সম্পর্ক ছিন্নের জের ধরেই সালেহর বাসভবনে হামলা চালায় হুতি বিদ্রোহীরা। সালেহ হত্যার বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁর ছেলে নির্বাসিত নেতা আহমেদ আলি-সালেহ। তিনি দেশটির এলিট রিপাবলিকান গার্ডের সাবেক নেতা। বর্তমানে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) নির্বাসনে আছেন।

এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহর মৃত্যুর পর দেশটির রাজধানী সানায় হুতিদের অবস্থান আরো সংহত হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সানায় এখন আরো বেশি চেকপোস্ট বসিয়েছে হুতিরা, পাশাপাশি তারা সালেহপন্থীদের গ্রেপ্তার করছে।

সানার মানবাধিকার কর্মকর্তা জামি গোল্ডরিক বিবিসিকে জানিয়েছেন, সহিংসতা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে অনেক বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছেন।