মার্কিন প্রেদিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ এনে সামার জেরভস নামের এক নারী মানহানি মামলা করেছেন। সামার জেরভস দ্য এপ্রেন্টিস নামক অনুষ্ঠানের একজন সাবেক প্রতিযোগী ছিলেন। অ্যাপ্রেন্টিস নামের জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়েলিটি অনুষ্ঠানটিতে বিচারক ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যৌন অসদাচরণের বিরুদ্ধে বর্তমান সোচ্চার পরিস্থিতির আলোকে একজন রাষ্ট্রীয় বিচারক মামলাটি পর্যবেক্ষণ করে দেখছেন। তবে অস্থিতিশীলতা এড়াতে মামলাটি খারিজ করে দেয়া যায় কিনা তা বিবেচনা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও।
সামার জেরভস অভিযোগ করেছেন যে, ২০০৭ সালে ট্রাম্প তার সঙ্গে যৌন অসদাচরণ করেন। তার মুখমন্ডলে বারবার চুমু দেন। শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন। নিজের স্পর্শকাতর অঙ্গ চেপে ধরেন তার শরীরে।
তবে ট্রাম্প এই ধরনের সব অভিযোগকে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের করা এমন মন্তব্যের সূত্র ধরে জেরভিস এবং তার আইনজীবী দাবি করেছেন, এই মন্তব্যে তাদের সম্মানহানি হয়েছে। তারা ট্রাম্পকে ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
এ মামলার ব্যাপারে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মার্ক কাসয়িচ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সুপ্রিমেসি ক্লজের ধারা অনুযায়ী, দায়িত্ব পালনরত একজন প্রেসিডেন্টের ওপর কোর্টের বিচারিক এখতিয়ার নেই। রাষ্ট্র আদালতে প্রেসিডেন্টকে হাজিরা দিতে বলাটা ‘অনুচিত সরাসরি নিয়ন্ত্রণ’ হিসেবে পরিগণিত হবে বলে মত দেন তিনি।
তবে এই যুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করে জেরভসের আইনজীবী মেরিয়ান মেয়ার অয়াং বলেছেন, এমন কোনো আইনগত উদাহরণ নেই যে একজন ফেডারেল কর্মকর্তাকে রাষ্ট্রীয় আদালত সিদ্ধান্তের আওতায় আনতে পারবে না। তিনি ট্রাম্পের প্রতি ইঙ্গিত করে এমনটি বলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের যৌন অসদাচরণের বিরুদ্ধে কোর্টের ব্যবস্থাপত্রকে উদাহরণ হিসেবে টানেন।