ফিচার

ঘা শুকানোর পর মুক্তামনির হাতে ব্যান্ডেজ করা হবে

By Daily Satkhira

December 08, 2017

ঘা না শুকানোর কারণে মুক্তামনির হাতে এখনও ব্যান্ডেজ করতে পারেননি চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি গত পরশু (বুধবার) তাকে দেখেছি। ওর হাতের ফোলাটা একইরকম আছে। ওর হাতে ঘা আছে। এই ঘাটা শুকালে তারপর ওর হাতে ব্যান্ডেজ করা হবে।’

মুক্তামনিকে বাড়িতে পাঠানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে হাসপাতালে থাকায় মুক্তামনি হাঁপিয়ে উঠেছে। ওকে আমরা রিলিজ দিতে চাইছি। কিছুদিন বাড়িতে গিয়ে থেকে আসুক।ওর ভালো লাগবে।’

মেয়ের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান মুক্তামনির বাবা ইবরাহীম হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখনও ডাক্তাররা ওর হাতে কোনও ব্যান্ডেজ করেননি। তবে তারা বলেছেন, প্রেসার ব্যান্ডেজ করে দেবেন। ডাক্তাররা আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের রিলিজ দেবেন বলে জানিয়েছেন।’

গত ৫ নভেম্বর মুক্তামনির পায়ের চামড়া নিয়ে হাতে লাগানো হয়। এরপর কিছু দিন ভালো ছিল সে। মা আসমা খাতুন জানান, ধীরে ধীরে তার হাতটা ফুলে উঠেছে এবং অসহ্য ব্যথাও হচ্ছে।

এবছরের ১২ জুলাই ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি হয় রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত মুক্তামনি। প্রথমে তার রোগটিকে বিরল রোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরে বায়োপসি করে জানা যায়, তার রক্তনালীতে টিউমার হয়েছে।  এসময় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেন বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা। তারা মুক্তামনির সব রিপোর্ট দেখে তার চিকিৎসা করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ঢামেকের চিকিৎসকরাই তার অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে, মুক্তামনির চিকিৎসার সব ধরনের খরচের দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তামনির হাতে ১০ অক্টোবর প্রথম অস্ত্রোপচার হয়। তার হাতের ফোলা অংশ অস্ত্রোপচার করে ফেলে দেন চিকিৎসকরা। গত ৫ নভেম্বর তার দুই পায়ের চামড়া নিয়ে দু’দফায় তার হাতে লাগানো হয়।

ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালামের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ একদল চিকিৎসক মুক্তামনির স্কিন গ্রাফটিং (চামড়া লাগানো) অপারেশনে অংশ নেন।