খেলা

ফাইনালে ঢাকা, অপেক্ষায় কুমিল্লা

By Daily Satkhira

December 08, 2017

ঢাকার ব্যাটিংয়ের পরই এবারের আসরের প্রথম ফাইনালিস্ট অনেকটাই নির্ধারণ হয়ে যায়। তবে কুমিল্লা সমর্থকরা অপেক্ষা করছিলেন তামিম-বাটলার-শোয়েব মালিকদের মধ্যে কেউ ক্রিস গেইল হয়ে উঠতে পারেন কি না। দিনের আগের ম্যাচে ৫১ বলে ১২৬ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে রংপুর রাইডার্সকে একক প্রচেষ্টায় কোয়ালিফায়ার পর্বে উঠিয়ে আনেন গেইল। তবে কুমিল্লার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউই গেইল হয়ে উঠতে পারলেন না। ফলাফল, কুমিল্লাকে হারিয়ে বিপিএলের এবারের আসরে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল উঠল ঢাকা ডায়নামাইটস।

কুমিল্লার ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আগামী রোববার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে হারাতে পারলে ফাইনালে উঠতে পারবে তামিম ইকবালের দল।

আজ শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ১৯১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ঢাকা ডায়নামাইটস। জবাবে মাত্র ৯৬ রানে অলআউট হয় কুমিল্লা। ৯৫ রানে ম্যাচটা জিতে ফাইনালে উঠে গেল সাকিব বাহিনী। আগামী রোববার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালে মাঠে নামবে ঢাকা। ১২ ডিসেম্বর হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি।

১৯২ রানের পাহাড়সম রান তাড়া করতে গিয়ে প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। একে একে ফিরে আসেন লিটন দাস, জস বাটলার, ইমরুল কায়েস, মারলন স্যামুয়েলস, তামিম ইকবাল ও ডোয়াইন ব্রাভো। ৬০ রানে প্রথম সাতজন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ায় ইনিংসের দ্বিতীয়ার্ধে কেবল হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন নিচের সারির ব্যাটসম্যানরা।

খুলনাকে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটি করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাকিব আল হাসান ও শহীদ আফ্রিদি। লিটন ও ইমরুলকে ফেরান সৈকত। জস বাটলার ও শোয়েব মালিককে ফেরান সাকিব। কুমিল্লার ব্যাটিং স্তম্ভখ্যাত তামিম ইকবাল ও ডোয়াইন ব্রাভোকে সাজঘরমুখী করেন শহীদ আফ্রিদি। শেষ পর্যন্ত কুমিল্লাকে মাত্র ৯৬ রানে অলআউট করে দিয়ে ফাইনালে উঠে গেল ঢাকা ডায়নামাইটস।

এর আগে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ নিশ্চিত করতে তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৯২ রানের লক্ষ্য দেয় সাকিবের দল। দ্বিতীয় ওভারেই মেহেদী মারুফ বিদায় নিলেও ঢাকার সমর্থকদের সেটা মনেই করতে দেননি এভিন লুইস ও জো ডেনলি। মাত্র ৬ ওভারের জুটিতে ৬৯ রান তুলে নেন এই দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৮০ রানে লুইস ফিরলেও চার-ছয়ের ছন্দটা ধরে রাখেন কাইরন পোলার্ড। ১৮ বলে ৩১ রান করেন পোলার্ড। এর আগে ৩২ বলে ৪৭ রান করেন লুইস।

পোলার্ড, জো ডেনলি ও সাকিব দ্রুত বিদায় নিলেও ঢাকার চাকাটা সচলই রাখেন শহীদ আফিদি। ১৯ বলে চার ছক্কায় ৩০ রান করেন পাক সুপারস্টার। শেষ দুই ওভারে রান তোলার ছন্দ্টা ধরে রাখতে পারেননি জহুরুল-নারাইনরা। ফলে ৭ উইকেটে ১৯১ রানেই থামে ঢাকার ইনিংস।