কালিগঞ্জ

তারালী হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত

By Daily Satkhira

December 10, 2017

নিজস্ব প্রতিবেদক : কালীগঞ্জের তারালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কর্তৃক দুর্নীতির মাধ্যমে স্কুলের জমি নিজের নামে করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার পেতে ও ঐ দুর্নীতিবাজ সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলী রেজুলেশন করে বর্তমানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপর দায়িত্ব ন্যস্ত করেছেন। অভিযোগ মতে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার তারালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ মুর্শিদ আলী (ইনডেক্স নং- ২৯১৩৯১) গত ১৭ মে২০১৭ ইং তারিখে অবসর গ্রহন করেন। সেসময় জিয়াদ আলী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে গত ০৯অক্টোবর২০১৭ তারিখে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি নবায়নের জন্য স্কুল পরিদর্শনকালে বিদ্যালয়ের জমিজমা সংক্রান্ত ক্রটি পান। সেকারনে তিনি ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ৫৯০৩ নং স্মারকে স্কুলের জমির দলিলের ফটোকপি, জমির খারিজের কপি, জমির খাজনা দাখিলার কপি ও জমির হাল জরিপের কপি তার দপ্তরে প্রেরন করতে বলেন। তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জমির কাগজপত্র যাচাই করাকালে দেখতে পান সাবেক প্রধান শিক্ষক মুর্শিদ আলী অবসর গ্রহণকালে প্রতিষ্ঠানের নামীয় সাড়ে ৯৯ একর জমির মধ্যে ৩৩ একর জমির দলিল (দলিল নং- ২৬৪৮), সাড়ে ৯৯ একর জমির খারিজের কপি ও হালনাগাদ খাজনা কপিসহ জমির হাল জরিপের কপি স্কুলে জমা দেননি। যার কারণে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গত ০৫ নভেম্বর ১৭ ইং তারিখে উপরোক্ত কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে সাবেক প্রধান শিক্ষক মুর্শিদ আলীর কাছে ০০১/১৭ নং স্মারকে পত্র পাঠান। পরে মুর্শিদ আলী ০৭নভেম্বর১৭ ইং তারিখে লিখিতভাবে তার জবাব প্রেরন করেন। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটি ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাম-লী তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করেন। তবে কাগজপত্রে দেখা গেছে, গত ইং ০৭-১২/২০১৪ তারিখ পর্যন্ত দাখিলা অনুযায়ী স্কুলের ৯৯ শতক জমির খাজনা পরিশোধ আছে। কিন্তু মুর্শিদ আলী প্রধান শিক্ষক থাকাকালে অবসরগ্রহনের পূর্বে গত ইং ১৩ এপ্রিল১৭ তারিখে স্কুলের জমি আত্মসাৎ করার অসৎ উদ্দ্যেশ্যে মাত্র ৬৬ শতক জমির দাখিলা পরিশোধ করেন। তিনি বিদ্যালয়ের জমি হাল রেকর্ড না করে কিছু জমি নিজের নামে, কিছু জমি তার পিতা ও তার স্ত্রীর নামে রেকর্ড করেন। যার কারনে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকবৃন্দ মুর্শিদ আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপর দায়িত্বভার অর্পণ করেছেন। এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াদ আলী সাবেক প্রধান শিক্ষক কর্তৃক জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে মুর্শিদ আলীর সেলফোনটি বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।