জাতীয়

ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, রোশানলে ডিবি

By Daily Satkhira

December 10, 2017

সাদা পোশাকে ডিবি পরিচয় দিয়ে রাজধানীর মৌচাকে ফরচুন মার্কেটের এক ব্যবসায়ীকে ধরে নেয়ার সময় সাধারণ মানুষ ঘেরাও করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। ওই ব্যবসায়ীর নাম মাজহারুল ইসলাম ইরান। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করেছে।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার।

তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আসামী ধরার জন্য এসেছিলো। কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের ভুয়া পুলিশ মনে অরে আটকিয়ে রাখেন। পরে গোয়েন্দা পুলিশ ব্যবসায়ীদের ফোন পেয়ে এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে করেছে বলে জানা যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানা যায়।

ফরচুন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া জানান, রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ৫/৬ জন লোক মার্কেটে প্রবেশ করে ব্যবসায়ীর নাম মাজহারুল ইসলাম ইরানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় ব্যবসায়ী ইরানকে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকজন ও অন্য ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে তারা নিজেদের ডিবির লোক বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু এসময় তাদের গায়ে পুলিশের বা ডিবির পোশাক না থাকায় ব্যবসায়ী ও উপস্থিত লোক জনের ভুয়া ডিবি বলে সন্দেহ হয়।

ফলে তাদের মাইক্রোবাসসহ ঘিরে ফেলে। ভুয়া ডিবি বলে স্লোগান দেয় জনতা। ঘটনাটি আমরা স্থানীয় পুলিশকে জানাই। পরে তারা এসে জনগণকে ছত্রভঙ্গ করে তাদের উদ্ধার করেন বলে জানা যায়। বর্তমানে আসল ডিবি পুলিশের ব্যবসায়ী ইরান জিম্মায় আছেন।

ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ উদ্দিন দুলাল জানান, এখন বিভিন্ন স্থানে ভুয়া ডিবির লোকজন ব্যবসায়ীদের তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটছে। জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও আছে। তাই ব্যবসায়ীরা সন্দেহ করে। এভাবে পোশাক ছাড়া আসায় এ ভুলবুঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সব সময় আমাদের সহযোগীতা করেন। আমরাও পুলিশকে সহযোগীতা করতে প্রস্তুত। কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা থাকলে, ওয়ারেন্ট থাকলে আমাদের জানালেও আমাদের অবগত করলে আমরা গ্রেফতারে সহযোগীতা করব।

আরেক ব্যবসায়ী জানান, শাড়ি ব্যবসায়ী ইরান ফরচুন মার্কেটের বড় ব্যবসায়ীদের অন্যতম।

একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ফরচুন মার্কেটসহ আশপাশের মার্কেটে ডিবির পরিচয়ে প্রায় ব্যবসায়ীদের ধরে নিয়ে যায়। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের ছাড়িয়ে আনতে হয়। নয়তো নানা রকম নির্যাতন করা হয়।

এজন্য এখন ব্যবসায়ীরা ডিবির নামে কোনো অভিযান চালালে তাদের প্রতিরোধ করতে জোট বদ্ধ হচ্ছেন।