সৌদির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক সিনেমা প্রদর্শনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে সৌদি সরকার। দীর্ঘ ৩৫ বছর সিনেমায় নিষেধাজ্ঞা থাকার পর আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই দেশটিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের প্রেক্ষাগৃহ বা সিনেমা হল চালু হবে বলে জানা যায়। সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্ত ব্যাপকভাবে সমাদৃত হলেও এতে দেশটির বহু বছরের রক্ষণশীল ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে বলে মনে করছেন অনেক সৌদি নাগরিক।
সম্প্রতি গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল শেখ বলেছিলেন, ‘নৈতিকতাকে দূষিত করবে সিনেমার অনুমোদন। ‘ তবে সেই যুক্তি মেনে নেননি যুবরাজ। এরপরেই এসেছে সিনেমা দেখানো সংক্রান্ত নতুন এ নির্দেশ।
এ ব্যাপারে সৌদি সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী আওয়াদ আলওয়াদ সোমবার জানান, প্রেক্ষাগৃহ সৌদির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিকাশকে প্রভাবিত করবে। এর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি দেশের বিনোদন জগতও সমৃদ্ধ হবে। জানা যায়, আগামী ১২ বছরের মধ্যে সৌদিতে তিনশ’ প্রেক্ষাগৃহ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
বিবিসি জানাচ্ছে, ১৯৭০ এর দশকে সিনেমা দেখা যেতো সৌদি আরবে। কিন্তু পরে ধর্মীয় নেতাদের চাপে সিনেমা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সম্প্রতি নারীদের গাড়ি চালানো ও বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার। যুবরাজ তথা ভবিষ্যৎ বাদশা মহম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভিশন-২০৩০ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ফের সিনেমা প্রদর্শনের এ নির্দেশ দেওয়া হল।