বিনোদন ডেস্ক : শিবাজি রাও গাওকায়াদ। বলিউডে যিনি রজনীকান্ত নামেই পরিচিত। ১৯৫০ সালে ভারতের বেঙ্গালুরু রাজ্যে তার জন্ম। নিজ অভিনয় গুণ ও দক্ষতা দিয়ে পুরো ভারত বটেই বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছেন তিনি। হয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেতা। কিন্ত এই রজনীকান্তের নায়ক হিসেবে উত্থান ঠিক যেন সিনেমার গল্পের মতোই। এই কিংবদন্তীর জীবনটা এতটা মসৃণ ছিল না। আজকের এই রজনীকান্ত জীবনের এক সময় কাজ করেছেন বেঙ্গালুরুর বাসের কনডাক্টর হিসেবে। সেখান থেকে চলে যান মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তার বাবা। তার এই দুর্দিনে এগিয়ে এলেন তার বন্ধু রাজ বাহাদুর। রজনীর সিনেমা জীবনটা শুরু হয় মঞ্চ নাটক দিয়ে। তারপর ডাক পান তামিল পরিচালক কে বালাচরনদারের ছবিতে। শুরু হল নতুন পথ চলা। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রজনীকে। ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকের অভিনেতা রজনীকান্ত। শিবাজি ছবির জন্য তিনি পারিশ্রমিক নিয়েছেন ২৬ কোটি রুপি-যা এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এশিয়ার প্রথম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের অভিনেতা জ্যাকি চ্যান। রজনীকান্তই প্রথম ভারতীয় অভিনেতা যিনি বিভিন্ন প্রযুক্তির ক্যামেরায় কাজ করেছেন। রজনীকান্ত প্রতিটি ছবির শ্যুটিং শেষে চেন্নাই থেকে হিমালয়ে হাওয়া খেতে যান। একবার চেন্নাইতে তার জন্ম দিনের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে তার এক ভক্ত সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এরপর থেকে চেন্নাইতে নিজের জন্ম দিন আর কোনদিনই পালন করেননি তিনি। রজনীকান্ত অভিনীত সায়েন্স ফিকশন ধর্মী তামিল ছবি এনথিরান ২০১০ সালে বিশ্বে টপ ৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তার এই ছবিটি একটি স্নাতকোত্তর কোর্সের কেস স্টাডিতে জায়গা পেয়েছিল। এই কিংবদন্তী অভিনেতা তামিল, তেলেগু, কান্নাদা, মালায়াম, হিন্দী এমনকি বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন। কিন্তু কোনটিতেই তিনি মাতৃভাষা ব্যবহার করেননি। রজনীর জনপ্রিয়তা এতই তুঙ্গে যে, ২০১৪ সালের ৫ মে যখন প্রথম তিনি টুইটারে আসেন, প্রথম দিনেই তার ফলোয়ার সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়ে যায়। উত্তরের ভক্তরা তাকে দেবতার সাথে তুলনা করেন। বুধবার রজনীকান্তের ৬৭ তম জন্মদিন ছিল। ভক্ত ও অনুরাগীদের থেকে পেয়েছেন শুভেচ্ছা। বয়স বাড়লেও, সিনেমার পর্দায় তা বুঝতে দেননি। আগামী বছরই তাঁর ২.০ ছবিটি মুক্তি পাবে। সেখানেও তাঁকে দেখা যাবে এক অন্য অবতারে। রোবট ছবির সিকুয়ালে রজনীর পাশাপাশি দেখা যাবে অক্ষয় কুমারকেও।