কলারোয়া

কলারোয়ায় এক কৃষককে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

By Daily Satkhira

December 14, 2017

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করায় এক কৃষককে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাকে রক্ষা করতে যেয়ে আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন তার স্ত্রী। মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় আব্দুল হামিদ যশঅসভপন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার ভোর রাতে কলারোয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আব্দুল হামিদ (৫২) কলারোয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামের সাজ্জাদ আলী মোল্যাার ছেলে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কৃষক আব্দুল হামিদ জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে কুয়েতে যাওয়ার সময় একই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজউদ্দিনের ছেলে শামীমের কাছে ১০ কাঠা জমি ২৩ হাজার টাকায় তিনি বন্ধক রাখেন। সুবিধামত সময়ে ওই জমি ছাড়িয়ে নেওয়ার কথা ছিল তার। দু’ সপ্তাহ আগে তিনি তার বোন মাহমুদা বেগমকে নিয়ে ২৩ হাজার টাকা দিয়ে জমি ফেরত দেওয়ার জন্য শামিমকে বলেন। শামিম ওই জমি ফেরত দেবেননা বলে জানান। উপরন্ত ওই জমি রেজিষ্ট্রি দলিল করে করে দেয়ার জন্য বলেন। আর তা না হলে জমির পরিবর্তে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে তিনি এক সপ্তাহ আগে ন্যয় বিচার চেয়ে জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেন। ইউপি চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আল মাসুদ বাবু উভয়পক্ষকে ডেকে বন্দকী জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য শামীমকে এক সপ্তাহ সময় দেন। আব্দুল হামিদ অভিযোগ করে বলেন, জমি ফিরে না পাওয়ায় পরিষদে অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন শামীম, তার ভাই সেলিম ও একই গ্রামের কাশেম সরদারের ছেলে ইউপি সদস্য চারটি নাশকতার মামলার আসামী বজলুর রহমান। তারা তাকে (হামিদ) জমি লিখে না দিলে খুন জখম করার হুমকিও দিয়ে আসছিলো। এরই জের ধরে বুধবার ভোর রাত তিনটার দিকে মশারির উপর দিয়ে পেট্রোল ছড়িয়ে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় শামীম, সেলিম ও বজলুসহ কয়েকজন। এ সময় তার আতœচিৎকারে স্ত্রী জাহানারা তাকে রক্ষা করতে গেলে সেও দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফরহাদ জামিল জানান, আব্দুল হামিদের দু’ হাত, কপাল ও মাথার কিছু অংশ দাহ্য পদার্থে পুঁড়ে গেছে। আব্দুল হামিদের স্ত্রী জাহানারা খাতুনের অভিযোগ, বুধবার তার স্বামীকে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় শামীম, সেলিম ও বজলুর বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। তবে, কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্ললব কুমার নাথ জানান, এ ঘটনায় থানায় এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।