কলারোয়া

মাত্র ৩ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে কলারোয়া হাসপাতাল!

By Daily Satkhira

December 14, 2017

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়া উপজেলায় সরকারিভাবে প্রদত্ত স্বাস্থ্য সেবার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রবিন্দু কলারোয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমপ্লেক্স, সংক্ষেপে যেটাকে সবাই সরকারি হাসপাতাল হিসেবেই চেনেন। আর সেই হাসপাতাল বর্তমানে চলছে মাত্র তিনজন ডাক্তার দিয়ে। ফলে চিকিৎসক শুন্যতায় স্বাস্থ্যসেবা পড়েছে হুমকির মুখে, ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসাপাতালের জরুরি বিভাগ, আউটডোর, ইনডোরসহ ভর্তিকৃত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বরত ৩জন চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) ডা.শফিকুল ইসলাম, ডা. গোপাল চন্দ্র ও ডা. তন্দ্রা ঘোষ। এ ৩ জনের মধ্যে আবার আর.এম.ও’কে অফিসিয়াল কাজের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকতে হয়। এছাড়া শুধুমাত্র প্রশাসনিক কাজে দায়িত্বপালন করেন স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা (টি.এইচ.ও) ডা. কামরুল ইসলাম। এ বিষয়ে আর.এম.ও ডা.শফিকুল ইসলাম জানান- ‘একদিকে অফিসিয়াল কাজ, অন্যদিকে জরুরি বিভাগ-আউটডোর নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে নিজেরাই বিপদে আছি। কোনটা ছেড়ে কোনটা করবো।’ তিনি বলেন- ‘আমরাও চাচ্ছি পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক পদায়ন করা হোক যাতে রোগীদের সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা যায়।’ এদিকে, গত ১১ ডিসেম্বর প্রসুতি বিশেষজ্ঞ ডা. কান্তি মোহন ভদ্র অবসরে গেছেন। ফলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালে গিয়ে প্রসুতি মায়েরা বিপাকে পড়ছেন। এছাড়া দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ কলারোয়া হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ আছে। পাশাপাশি এ্যানাসথেসিয়া ডাক্তার বা অজ্ঞানের ডাক্তারসহ বিশেষজ্ঞ সার্জন না থাকায় ছোট-বড় অন্যান্য অপারেশনও রয়েছে বন্ধ। যে কারণে ক্লিনিকগুলো বেশ রমরমিয়ে ‘স্বাস্থ্য ব্যবসা’ করছে। যেখানে এক সময় এই হাসপাতালে ২০ জন ডাক্তার কর্মরত ছিল। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন ডাক্তার। কখনও কখনও আউটডোরে ডাক্তারদের সময়মত পাওয়া যায় না। বেডে থাকা রোগীরাও সময়মত ডাক্তারের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে সাধারণ জনগণ সরকারি এই হাসপাতালের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর এগুলোর অন্যতম প্রধান কারণ ডাক্তার স্বল্পতা। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকার সচেতন মহলের দাবি- দ্রুতত পর্যাপ্ত চিকিৎসক পদায়ন করা হোক কলারোয়া হাসপাতালে। জনগনের মনে প্রশ্ন- দেখার কি কেউ নেই? কবে হবে এই অবস্থার অবসান?