প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরার তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় এক ব্যক্তিকে নিজ দপ্তরে ডেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলার আসাননগর গ্রামের মৃত মুছা শেখের ছেলে নুর ইসলাম শেখ এই অভিযোগ করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নগরঘাটা ইউনিয়নের তৎকালীন নায়েব এসএম আব্দুল মজিদ কুটিঘাটা ও ফুলবাড়ি হাট ইজারা দেওয়ার নাম করে তার কাছ থেকে দু’দফায় ১০ হাজার টাকা নেন। টাকা নিয়ে একটি লিখিত কাগজও তাকে দেন আব্দুল মজিদ। সে মোতাবেক টোল আদায় শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে আব্দুল মজিদ ২৪/৪/১৬ তারিখে স্থানীয় মসজিদ কমিটি ও ২৮/৪/১৬ তারিখে ফুলবাড়ি এলাকার মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকেও বাজার ইজারা দেওয়ার আশ্বাস দেন। তখন বাজার কমিটি নুর ইসলাম শেখকে টোল আদায় করতে নিষেধ করে। এ ঘটনার প্রতিকার দাবি করে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করলে তিনি এডিসি রেভিনিউকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এরই মধ্যে ১৮/৫/১৬ তারিখে সিডিউলের মাধ্যমে পুনরায় ওই বাজারের ইজারা গ্রহণ করেন নুর ইসলাম শেখ। পরে নায়েব আব্দুল মজিদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি ষড়যন্ত্র শুরু করেন। ১৬/৮/১৬ তারিখে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ইসলামকে তার দপ্তরে ডেকে পাঠান। আদেশ অনুসারে সেখানে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশ দিয়ে নুর ইসলামকে ধরিয়ে দেন এবং এসিল্যান্ডকে দিয়ে মাদকসহ আটক দেখিয়ে ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ওই ঘটনায় এক মাস জেল খাটতে হয়েছে নুর ইসলামকে। এরই মধ্যে আব্দুল মজিদ খেশরায় বদলী হয়ে যায়। যাওয়ার আগে সে বাজার কমিটিকে খাজনা আদায় করতে বলে যায়। এ ব্যাপারে সরকারি বিধি মোতাবেক খাজনা আদায়ের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন নুর ইসলাম। আবেদন পেয়ে তিনি ইউএনওকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ২০১১ সালে নুর ইসলামের নামে দেওয়া আসাননগর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ি থেকে নামার নির্দেশ দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি টাকা ফেরত দিতে অফিসে ডেকে নিয়ে মিথ্যা মাদক মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া ঘটনায় অত্যাচারী ইউএনও ও বাজার ইজারা দেওয়ার নামে তিনজনের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া নায়েব আব্দুল মজিদের শাস্তির দাবি জানান।