কালিগঞ্জ

কৃষ্ণনগর বাজারে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ

By daily satkhira

October 24, 2016

কৃষ্ণনগর প্রতিনিধি: কৃষ্ণনগর বাজারে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরেন্দ্র ঘোষের পুত্র প্রভাস চন্দ্র ঘোষ ও অমল ঘোষের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। কাগজ পত্র দলিল পত্রাদি সহ অন্যান্য কাগজ দেখে জানা যায় কৃষ্ণনগর মৌজার ১৫০৯ দাগের ৩৩৩ নং খতিয়ানে কৃষ্ণনগরের লাল মোহন ঘোষ অমল ঘোষকে ১৯৮৪ সালে .০৩ শতক জমি দানপত্র করেন। পরবর্তীতে ঐ একই দাগে .২৪ শতক জমি লাল মোহন ঘোষ অমল দিং দের কাছে বিক্রি করেন। পরবর্তীতে অমল দিং .২৪ শতক জমির মধ্য .২১ শতক জমি ৬/৭/৮৯ সালে বিরেন্দ্র ঘোষের নিকট রেজিস্ট্রি কোবালা করে দেন। বাকী .০৬ শতক জমির মধ্য .০৩ শতক জমি বিরেন্দ্র ঘোষ নিয়ে নেন। তার জন্য অমল ঘোষকে তার জমির দক্ষিন-পশ্চিম কোনের কেশব ঘোষের দোকানের পিছন হইতে .০৩ শতক জমি দখল দিয়ে দেন। বর্তমান জরীপ রেকর্ডে উক্ত জমির মধ্য .০২ শতক জমি এস,এ ৫৩৯ ডি,পি ১৪ দাগ নং ২০৬৭ রেকর্ড হয়। তাছাড়া অমল ঘোষ ও কেশব ঘোষ ১৪৮৭ ইং তারিখে জে,এল,নং-২৩৪, খতিয়ান নং-১, দাগ নং-১৫০৮ এর মধ্য দৈর্ঘ্য  ফুট, প্রস্থ  ফুট, জমি চিত্তরঞ্জন, ভাদ্র চন্দ্র ঘোষ, দেবু রঞ্জন ঘোষ নিরাপদ ঘোষের কাছ থেকে খরিদ করে দোকান ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ বিরেন্দ্র ঘোষের ছেলে প্রভাস ঘোষ অমল ঘোষ ও কেশব ঘোষের দোকানের পিছনে জায়গা থাকায় .০৩ শতক জমির বিনিময়ে তাদের দোকানের তিন ভাগের এক ভাগ জমি নিতে চুক্তিবদ্ধ হন এবং দোকানের পিছন থেকে .০৩ শতক ছেড়ে দেন। বর্তমানে ৩টি দোকান তিন জন ভোগ দখল করিতেছে। কিন্তু বর্তমানে প্রভাস ঘোষ দোকান সহ তার বসত ভিটার উচ্চ মূল্য পাওয়ায় সে স্বত্ত ভঙ্গ করে সমস্ত জমি বিক্রি করার পায়তারা করিতেছে। এইজন্য অমল ঘোষ কালিগঞ্জ এস,পি সার্কেলের নিকট অভিযোগ করলে তিনি উভয় পক্ষকে ২৩/১০/১৬ তারিখে নোটিশ প্রদান করেন এবং আগামী ২৬/১০/২০১৬ তারিখে শুনানীর জন্য উভয় পক্ষকে দিন ধার্য্য করেন। তাছাড়া ২০১৩ সালে মাপ জরীপের মাধ্যমে উভয় পক্ষের জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য জরীপ করে আবু হেনা বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর আওয়ামীলীগের বতমান সাধারণ সম্পাদক নুর আহম্মেদ সুরুজ ও কৃষক লীগের বর্তমান সভাপতি ফজর আলী গাজী উক্ত জমির ম্যাপ পয়েন্টও করে দিয়েছিল। এজন্য কৃষ্ণনগরবাসী উভয়ের মধ্যে বিরোধ মিমাংসার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।