বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ির মালিক সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। দুই বছর আগে বাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। তবে এতোদিন ক্রেতার নাম জানা না গেলেও রবিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর আগে ফ্রান্সের ‘শ্যাটো লুইস ফোরটিন’ নামের বাড়িটি ৩০ কোটি ডলারে (প্রায় ২৪০০ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়েছিল। তখন ফরচুন ম্যাগাজিন একে বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি হিসেবে আখ্যা দেয়। ৫৭ একরের ল্যান্ডস্কেপে রয়েছে স্বর্ণপাতার ঝরনা, মার্বেলের ভাস্কর্য এবং আঁকাবাঁকা গাছের বেড়ার দেয়াল, যা গোলক ধাঁধার সৃষ্টি করে। প্রাসাদের চোখ ধাঁধানো এসব তথ্য জানা গেলেও তখন একটি তথ্য কেউই জানতে পারেননি। আর সেটি হল এর ক্রেতার নাম।
তবে এই সংক্রান্ত নথি বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই এর ক্রেতা। একে সৌদি যুবরাজের অসংযত ক্রয়গুলোর একটি বলে উল্লেখ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। ৫০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ইয়ট এবং ভিঞ্চির আঁকা ৪৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের চিত্রশিল্প ক্রয় নিয়ে সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে বিতর্ক রয়েছে।
দেশের ভেতরে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালানোর মধ্য দিয়ে নিজের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করে বিদেশে বিলাসিতা করছেন বলে উল্লেখ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
সিআইএর সাবেক পরিচালক এবং লেখক ব্রুস ও লেইডেল বলেন, ‘তিনি নিজের সাফল্যমণ্ডিত ভাবমূূর্তি গড়ার চেষ্টা করছেন। তিনি দেখাতে চাচ্ছেন তিনি আলাদা চরিত্রের, তিনি একজন সংস্কারক, অন্তত সমাজ সংস্কারক এবং তিনি দুর্নীতিবাজ নন। তবে এটা (এসব বিলাসী কেনাকাটা) তার ভাবমূর্তির ওপর একটি ভয়াবহ আঘাত। ’
সপ্তদশ শতকে নির্মিত প্রাসাদটিতে একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির মিশেলে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এখানে রয়েছে মদপানের কক্ষ, মুভি থিয়েটার, পানির নিচে স্বচ্ছ চেম্বারসহ নানা বিনোদনমূলক ব্যবস্থা। এর ঝরনা, সাউন্ড সিস্টেম, লাইট এবং নিঃশব্দের এয়ার কন্ডিশনারগুলো আইফোনের মাধ্যমে দূর নিয়ন্ত্রিত।