সম্প্রতি জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যার বিরুদ্ধে পথে নামল ইন্দোনেশিয়ার সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। স্থানিয় সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে জাকার্তায় শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিরধী বিক্ষোভ। রবিবার চতুর্থ দিনের মাথায় এই বিক্ষোভের মাত্রা অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়। দেশটির পুলিশের হিসেবে এদিন প্রায় ৮০ হাজার বিক্ষোভকারী হাজির ছিলেন জাকার্তার পথে।
চলতি মাসের ছয় তারিখে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল নিন্দা ও প্রতিবাদ জারি রয়েছে। ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে পশ্চিম তীর, জেরুজালেমসহ বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সেই বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় রবিবার ইন্দোনেশিয়ায় চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ আয়োজিত হয়। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার প্রধান মসজিদ থেকে মিছিল নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের সামনে একটি স্কয়ারে জড়ো হন। পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস বিষয়ে নেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বিক্ষোভকারীরা ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়া সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায় এবং ইসলামি সংস্থার সমর্থনে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংগঠন ‘ইন্দোনেশিয়া ওলামা পরিষদ’ এ বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে। বিক্ষোভকারীরা ‘আল্লা-হো-আকবর’ স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ফিলিস্তানি পতাকা এবং শান্তি, ভালোবাসা এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সব ধরনের মার্কিন পণ্য বর্জন অব্যাহত রাখতে ইন্দোনেশিয়ার উলেমা পরিষদের মহাসচিব আনয়োর আব্বাস তার দেশের নাগরিকদের কাছে আবেদন করেছেন। এদিকে, ট্রাম্পের ঘোষণার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে আটটি দেশ এই ইস্যুতে জরুরি সভা আহ্বান করেছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব লিগ, সৌদি আরব, জর্ডান, তুরস্ক, ফ্রান্স এবং জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সতর্ক বাণী উপেক্ষা করেই জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করেন ট্রাম্প। আর তার এরকম একপেশে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। কলকাতা টুয়েন্টিফোর।