এম বেলাল হোসাইন : নজরুল সংগীতে পিএইচডি করে মানুষের মনে খোরাক মেটাবে। জয় করবে মানুষের হৃদয়। ঘরে ঘরে পৌছে যাবে সুরের মোহনা। এমনি স্বপ্ন তাড়া করে বেড়ায় আসিফ নেওয়াজকে। এই আকাঙ্খা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গান শুরু করে আসিফ। তার সুরের আকতি ধীরে ধীরে মানুষের হৃদয়ে কাড়তে শুরু করলো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দাওয়াত পেতে লাগলো সে। একপর্যায়ে ২০১০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনেও পরিবেশিত হয়ে তার সংগীত। এছাড়াও চ্যানেল অন এ সংগীত প্রতিযোগিতায় খুলনা বিভাগ থেকে আধুনিক গানে সুরের প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে আসিফ। কিন্তু বড় হওয়ার আকাঙ্খা যাকে সব সময় তাড়িয়ে বেড়াই সে কি আর এত অল্পতেই সন্তুষ্ঠ হতে পারেন। প্রবল ইচ্ছা সংগীতের উপর লেখা পড়া করবে। পিএইচডি লাভ করবে সে। আসিফ নেওয়াজ সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার মো. আকবর আলী, মাতা সালমা বেগমের সন্তান। তার পিতা আকবর আলী পেশায় একজন কৃষক। কৃষক পরিবারের সন্তানের পক্ষে কিভাবে এভাবনাই হতাশ হয় আসিফ। তাতে কি? বিধাতা যার সহায় তাকে কে আটকাতে পারে। দেবদূতের মত সামনে আসলো তালা-কলারোয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও তার সহধর্মিনী প্রধান শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক কর্মী নাসরিন খান লিপি। আসিফকে ভর্তি করে দিলেন তার স্বপ্নের কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেখানে আফিস সংগীত নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে নিজের সুর বিলাতে পারে মানুষের মাঝে। সেখানেও পড়তে গিয়ে থেমে নেই আসিফ ভারতীয় কয়েকটি টিভি চ্যানেলে ইতোমধ্যে পরিবেশিত হয়েছে তার সুুমধুর কণ্ঠের সংগীত। এদিকে তার সুরের আকুতিতে মেতে ঢাকার বিশিষ্ট কার্ডিওলোজি চিকিৎসক ডা: মোমিনুজ্জামান। আসিফ দেশে ফিরেছে জেনে তিনি চলে আসলেন সাতক্ষীরায়। তার এ সূরের শিখা ছড়িয়ে দিতে তিনিও ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহযোগিতা করেছেন আফিস নেওয়াজকে। আসিফ সাতক্ষীরাবাসীর আশীর্বাদ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করে তার ভবিষ্যত সংগীতজ্ঞ হয়ে ওঠার পথে।