মোস্তাফিজুর রহমান : আশাশুনি উপজেলাবাসীর সাতক্ষীরা জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার মূল সড়ক সাতক্ষীরা টু আশাশুনিসহ সংযোগ সড়ক আশাশুনি টু ঘোলা এবং বুধহাটা টু দরগাহপুর খানা খন্দের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে এসকল সড়কগুলি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আশাশুনি উপজেলা বাসির সাতক্ষীরা জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল সড়ক সাতক্ষীরা টু আশাশুনি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী বাস, মাছবাহী ট্রাক, মোটর সাইকেলসহ অসংখ্য ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। অধিক গুরুত্বের সড়কটি দিয়ে আশাশুনি উপজেলায় কর্মরত অধিকাংশ কর্মকর্তাবৃন্দ অফিসিয়াল কাজে উপজেলা থেকে জেলা শহরে যাতায়াত করে থাকেন। সড়কুটির দুলিহর বাজার এলাকার অবস্থা এতই খারাপ যে একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের কিছু কিছু যায়গায় হাঁটু পানি জমে যায়। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির অধিকাংশে অসংখ্য বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আর এসব দুর্ঘটনায় জীবনহানীর পাশাপাশি অনেককেই মেনে নিতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব জীবন। এছাড়া সড়কটি দিয়ে চলাচলরত যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে থাকাসহ সড়কটি চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আর এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলরত সাধারণ মানুষের। এদিকে আশাশুনি টু ঘোলা সড়কটি সংস্কারের অভাবে যানবাহন চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংকারের অভাবে দীর্ঘ দিন জরাজীর্ণ সড়কটির বেহাল দশায় বেশিরভাগ অংশই এখন মরণ ফাঁদ। সড়কটিতে যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস, ট্রাক, নছিমন, করিমন, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলসহ ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন যাতায়ত করে থাকে। উপজেলার শ্রীউলা ও প্রতাপনগর এ দুটি ইউনিয়নের জনগনের উপজেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র সহজ এবং সটকার্ট সড়ক এটি। সড়কটি ব্যবহার করেই ব্যবসায়ীরা দক্ষিণাঞ্চলের সাদা-সোনা খ্যাত চিংড়ী মাছ সহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকে। যার মাধ্যমে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব অর্জন করে। কিন্তু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বিভিন্ন জায়গা দীর্ঘদিন থেকে খানা-খন্দকে পরিনত হয়ে আছে। ১৮ কিঃ মিঃ এ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তে পরিনত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। অপরদিকে বুধহাটা টু দরগাহপুর (বাঁকা) সড়কের করুণ অবস্থায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে। বুধহাটা টু দরগাহপুর সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রো, প্রাইভেট, পিকআপ, ইজিবাইক, মহেন্দ্র, নছিমন-করিমন, ব্যাটারি চালিত ভ্যান, ইঞ্জিন ভ্যান, মটর সাইকেল যাতয়াত করে থাকে। পাইকগাছা, কয়রা, তালা, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যাতয়াতের জন্য সংক্ষিপ্ত ও সহজ পথ হিসাবে এই সড়কের ব্যবহার হচ্ছে। উপজেলার দরগাহপুর, কাদাকাটি ও কুল্য তিনটি ইউনিয়নের জনসাধারণ সড়কটি ব্যবহার করে জেলা ও উপজেলার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। খুবই ব্যস্ততম সড়ক হলেও সড়কটি এখনো অপ্রশস্ত রয়েগেছে। ফলে যানবাহনের ক্রসিং ও ওভার টেকিং রীতিমত ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া সড়কের বৃহৎ অংশ অত্যান্ত শোচনাীয় হয়ে পড়েছে। সড়কের বেশ কিছু অংশে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির বাহাদুরপুর অংশে প্রায় অধ্য কিলোমিটার মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে একেবারে চলাচলের অনপুযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির ফুটপাতও গাড়ির চাকার চাপে মাটি বসে গিয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গুনাকরকাটিসহ কয়েকটি স্থানে খাদ এতটা বড় হয়ে গেছে যে, মাঝে মধ্যে যানবাহন আটকে গিয়ে দীর্ঘ সময় সড়ক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সড়কটি পুনঃসংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর। এদিকে হলদেপোতা থেকে গোয়ালডাংগা হয়ে আনুলিয়া সড়কটির অবস্থা মোটামুটি ভাল হলেও হলদেপোতা থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সড়কের কয়েকটি জায়গায় বিস্তর এলাকা জুড়ে রাস্তা দেবে যাওয়ায় যানবাহনের জন্য ঝুঁকিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ চায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা ০৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহর হক এমপি এ প্রতিবেদককে জানান, আশাশুনি টু ঘোলা সড়কের আশাশুনি থেকে শ্রীউলা পর্যন্ত সাড়ে চৌদ্দ কিলোমিটার, শোভনালী বিজ্রের দুই পাশের সংযোগ সড়কসহ বেশ কিছু রাস্তা সংস্কারের বরাদ্দ ইতমধ্যেই হয়ে গেছে। খুব শ্রীঘ্রই কাজ শুরু হবে। এ সড়কের যে অংশের বরাদ্দ হয়েছে ওটুকুর অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল বাকি অংশের কাজও পর্যায়ক্রমে হবে।