নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির চক্র পরিচালিত দুর্নীতি-অনিয়ম এবং মৌলবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্টাফ’র সকল কার্যক্রম বন্ধ ও এর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্র জনতার উদ্যোগে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটস্থ শজিদ আলাউদ্দিন চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার। জেলা ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ মন্ডলের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডারও জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ইনামুল হক বিশ্বাস, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, জেলা জেএসডি’র সভাপতি সুধাংশু সরকার, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান পলাশ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি প্রভাষক এম. সুশান্ত, জেলা গণফোরাম সেক্রেটারি আলী নুর খান বাবুল, কবিতা পরিষদ সভাপতি মন্ময় মনির, জাগ্রত সাতক্ষীরার সভাপতি সায়েম ফেরদৌস মিতুল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওহিদুজ্জামান টিটু, ছাত্র মৈত্রীর বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নিমাই দাশ, শতদল শিল্পকলার ইকবাল লোদী, যুব জোট সভাপতি আবু সেলিম প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা হাসনে জাহিদ জজ, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান, ছাত্রনেতা রওনক বাসার, যুবমৈত্রীর জেলা সাধারণ সম্পাদক মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, ফিরোজ বিশ্বাস, পৌর ৩ নং ওয়াড ছাত্রলীগের সভাপতি হিরণ প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার বলেন, আগামী প্রজন্ম মৌলবাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অনতিবিলম্বে স্টাফ এর মত জামাতি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। এড. আব্দুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষাদস্যু আক্তারুজ্জামানের মত স্বাধীনতাবিরোধী চক্র যারা শিক্ষাঙ্গনে অনুপ্রবেশ করেছে তাদেরকে শিক্ষাঙ্গন থেকে বহিস্কার ও বিচারের আওতায় এনে শিক্ষাঙ্গনকে কালিমামুক্ত করতে হবে। কালক্ষেপন না করে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে যে সমস্ত শিক্ষকরা নাশকতার মামলার আসামি তাদের দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তি ও স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং চাকরিতে যোগদান হতে অদ্যবধি যে সমস্ত বেতন ভাতা গ্রহণ করেছে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। কথিত বৃত্তি পরীক্ষার নামে স্টাঢ যে অর্থ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে নিয়েছে তা অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থীদের ফেরত দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক বিশ্বাস বলেন, শুধুমাত্র স্টাফের সাথে জড়িতদের বিচার করলেই হবে না। একই সাথে যারা সরকারের ভিতরে থেকে এবং প্রশাসনের ভিতরে থেকে এই মৌলবাদি চক্রকে সহায়তা করছে তাদেরও বিচার করতে হবে। আলীনুর খান বাবুল বলেন, এই সংস্থার পিছনের মাস্টারমাইন্ড ও এর অর্থের যোগানদাতাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। কবিতা পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মন্ময় মনির বলেন, স্টাফ পরীক্ষার নামে সাধারণ মানুষদের নিকট যে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তা অবিলম্বে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। একই সাথে নবারুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি প্রভাষক এম. সুশান্ত বলেন, আমার হৃদয়ে আজ রক্তক্ষরণ হচ্ছে কারণ স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও সরকারের একজন মহিলা সাংসদ ও একজন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাদের নীতি আদর্শ ত্যাগ করে ও আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে এই মৌলবাদি জামা-শিবির চক্রকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। শিক্ষাদস্যু আক্তারুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেয়ার পরও কলেজ এর সভাপতি মিসেস রিফাত আমিন তা করছেন না। অথচ আক্তারুজ্জামান একজন স্বঘোষিত বিএনপি ক্যাডার। প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জী বলেন, শুধু স্টাফ বন্ধ করলেই হবে না একই সাথে এদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে এবং এর মদদদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।