মোস্তাফিজুর রহমান : আশাশুনির কাদাকাটিতে সরকারি রাস্তা কেটে ব্যক্তিগত জমি বাড়ানোর মহোৎসবের অভিযোগ পাওয়াগেছে। আর এ রাস্তা কাটার মহোৎসব চলছে কাদাকাটির গ্রামের বিলের মধ্যের কয়েকটি রাস্তা কেটে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কাদাকাটি বিলের মধ্যে ছমির সরদারের বাড়ি থেকে হান্নান মেম্বরের বাড়ি পর্যন্ত দেড় কিঃ মিঃ রাস্তা, ব্যাগের চক হতে হলদেপোতা পর্যন্ত সাড়ে তিন কিঃ মিঃ রাস্তা, গিয়াস উদ্দীনের বাড়ি হতে পুটি মারি পর্যন্ত ২ কিঃ মিঃ রাস্তা, দলীল সরদারের বাড়ির সামনের ব্রিজ হতে বাকি বিল্লাহর মৎস্য ঘের পর্যন্ত আড়াই কিঃ মিঃ রাস্তার অধিকাংশ স্থানে কেটে পাশের জমির মালিকরা তাদের জমির পরিমান বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় মেতেছে। আর এ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছে কাদাকাটি গ্রামের মৃত কুদ্দুস সরদারের পুত্র মোঃ আজিবার রহমান। বিগত দুই বছর থেকে এ রাস্তা কেটে জমি বাড়ানোর প্রতিযোগিতার অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন একই গ্রামের মৃত নফিল উদ্দীন সরদারের পুত্র বদর উদ্দীন সরদারসহ একাধিক প্রতিযোগি। উল্যেখিত রাস্তা গুলোর কোথাও ১৩ কোথাও ১১ ফিট থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে কোথাও কোথাও রাস্তা অবশিষ্ট আছে মাত্র ৩ থেকে ৬ ফিট। সরকারি রাস্তা কাটার এ মহোৎসব দেখেও না দেখার ভান করে আছেন স্থানীয় জন প্রতিনিধিসহ দেখভালের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। এলাকার বেশিরভাগ মানুষের বক্তব্য এভাবে রাস্তা কাটতে থাকলে বিলের সহ্রাধীক বিঘা জমির ফসল বহনের জন্য যানবাহন চলাচলের জন্য কোন উপায় থাকবে না। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হাসান বাবু জানান, এলাকার একাধিক ব্যক্তি সরকারি রাস্তা কেটে ব্যক্তিগত সম্পদ বাড়ানোর বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে এমনকি আমার চোখেও পড়েছে। এলাকার জনসাধারণের স্বার্থে রাস্তাগুলো উদ্ধারে সরকার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আমার সার্বিক সহযোগিতা সেখানে থাকবে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য বেলা ১টার সময় কাদাকাটি ইউনিয়ন ভূমি(সাব) অফিসের সহকারী কর্মকর্তা সিদ্দিক উল্লাহর অফিসে গেলে তার অফিসে তালা ঝুলতে দেখা যায়। তার মোবাইল নাম্বারে কয়েকবার ফোন দিয়েও ফোন রিসিভ হয়নি। কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরদার প্রতিবেদককে জানান, আমাকে এর আগে রাস্তা কাটার বিষয়টি কেহ বলেনি। আপনার থেকে প্রথম শুনলাম। আমি যেখানে ইউনিয়নের রাস্তাগুলো বড় করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি সেখানে কেহ যদি রাস্তা কেটে ছোট করতে চায় সে যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। কালই আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে প্রশাসনকেও কাজেু লাগাবো। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার জনসাধারণ।