শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরের তিন বছরের শিশু রাকিব হোসেনের পিতৃ পরিচয় নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। দারিদ্রতার কারনে তার পিতা মুরাদ হোসেন এলাকা ছেড়ে প্রায় বাইরে যায় কাজের সন্ধানে। এদিকে সংসারের ভরাণ পোষন চালানোর তাগিয়ে অসহায় মা সুফিয়া বেগমকে অন্যের বাড়িতে ঝি’য়ের কাজ করতে হয়। এভাবে কোনভাবে চলছিল পাতড়াখোড়া গ্রামের মুরাদ ও সুফিয়ার কষ্টের অভাবের সংসার। এদিকে সুফয়া প্রতিবেশী জাফর মোড়লের পিতার বাড়িতে ঁিঝ’য়ের কাজ নেয়। এসুযোগে গৃহকর্তার লম্পট পুত্র জাফরের কু-দৃষ্টি পড়ে কাজের মেয়ে সুফিয়ার উপর। নানা প্রলোভনে এক পর্যায়ে তাকে বশে এনে গড়ে তোলে অনৈতিক সম্পর্ক। এদিকে কাজ শেষে মুরাদ বাড়িতে আসার পর এক কান দু’কান কান হয়ে বিষয়টি গোটা এলাকা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে জাফর ও তার বংশ মর্যাদা সম্পন্ন প্রভাবশালী অভিভাবকদের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ জানানোর সাহস দেখাতে অক্ষমতা প্রকাশ করে মুরাদ। শেষ পর্যন্ত গৃহকর্তা জাফর মোড়লের ঔরসজাত সন্তান গর্ভে নিয়ে স্ত্রী সুফিয়া কে নিয়ে মুরাদ একান্ত বাধ্য হয়ে নিরবে নিঃশব্দে পার করছে তার সংসার। সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র সমালোচনাার ঝড় বইছে। ইতিমধ্যে ভুমিষ্ঠ হওয়া সন্ধান রাকিবের চেহারার সাথে উক্ত গৃহকর্তার পুত্রের মিল রয়েছে দাবি করে স্থানীরা জানিয়েছে সুফিয়া এবং মুরাদ অভাবী পরিবারের হওয়ার কারনে প্রভাবশালী বিএনপি নেতা জাফর এমন সুযোগ গ্রহণ করেছে। এদিকে এবিষয়ে সুফিয়া বেগমের স্বামী মুরাদ হোসেনের সাথে তার ০১৯৫২৮৬২৯০৫ এ যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া অভিযুক্ত আবু জাফরের ০১৭১০০২৮৭৮০ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুরো ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেন।