পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটা থানার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের মির্জাপুর বাজারের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ইঞ্জিন চালিত নছিমন, সমিরন, আছিরন, করিমন, পাগলাঘন্টা কারখানা গড়ে উঠেছে। ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা। প্রশাসন জানলেও কোন অদৃশ্য কারনে এসকল অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাটকেলঘাটার মির্জাপুর বাজারের দুই ধারে ছোটবড় ৭টি ওয়ার্কশপে শিশু শ্রমিক দ্বারা সরকারের কোন অনুমতি ছাড়াই দিনরাত অবৈধ ইঞ্জিন ভ্যান তৈরির কাজ চলছে। এর ফলে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে আইনের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে হোল্ডিং ঝালাই এবং ব্যাপক শব্দ দুষনে পরিবেশ নষ্ট করছে। এ প্রতিবেদকের সাথে কারখানার এক শ্রমিক নাম না প্রকাশ করার স্বার্থে জানায়, আমরা সপ্তায় ১০/১৫টা এবং মাসে ১থেকে দেড়শ ইঞ্জিন ভ্যান বানিয়ে থাকি। এক একটা ইঞ্জিন ভ্যান বানাতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। আমাদের মালিক নিয়মিত প্রশাসনকে ম্যানেজ করে করার ফলে আমরা ইঞ্জিন ভ্যান তৈরি করলেও আমাদের কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। এদিকে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের নাকের ডগায় সরকারের অনুমতি ছাড়াই এ সব অবৈধ নছিমন, করিমন, পাগলা ঘন্টা, ইনজিন ভ্যান তৈরি হলেও প্রশাসনের কোন মাথা ব্যাথা নেই। অবৈধ ইঞ্জিন ভ্যানের চলাচলের কারণে ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা। ইঞ্জিন ভ্যান চলাচলের কারণে বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় অবরোধ ধর্মঘট পালন করলে সাময়িক ভাবে ভ্রাম্যমান আদালত দিয়ে জরিমানা করা হয়। এছাড়া মির্জাপুর বাজারে বেশ কয়েকবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এসকল অবৈধ কারখানাগুলোতে সীলগালা করে দিলেও গোপন পথ তৈরি করে ভিতরে অনাসয়ে তাদের অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যায়। এসব মরণ যন্ত্র দানবের কারনে প্রতি মাসেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রানহানির মত বড় দূর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এসকল ইঞ্জিনভ্যান তৈরির কারখানায় অধিকাংশ নেই কোন পরিবেশ লাইসেন্স। এক কথায় সককারের সকল নিয়মনীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে এসকল ইঞ্জিন দানব তৈরির কারখানা। এলাকার সচেতন মহল অবৈধ ইঞ্জিন ভ্যানের শব্দ এবং পরিবেশ দুষনের হাত থেকে বাচার জন্য উর্দ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনাসহ সাথে সাথে এসকল অবৈধ কারখানা আশুবন্ধের জন্য প্রশাসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।