মোজাফফর হোসেন, কলারোয়া প্রতিনিধি :কলারোয়ায় জেলা ড্রাগ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে চা-নাস্তার ব্যবস্থা করার নাম করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সাতক্ষীরা জেলা ড্রাগ সুপার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন ঔষধের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি কলারোয়া পৌর সদরের আসেম ফার্মেসী, রহমান ড্রাগ হাউজ, আক্তার র্ফামেসী, হালিমা ফার্মেসী, জাহানারা র্ফামেসীসহ কয়েকটি দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন, জাতীয় পার্টির নেতা ও ড্রাগ সমিতির কথিত সভাপতি সামছুর রহমান ও কাজী সামছুর (রাসেল র্ফামেসীর মালিক)। অভিযান চলাকালে ড্রাগ সুপার ঔষধের গুনগত মান সঠিক আছে কি-না সেটা ল্যাবে টেস্ট করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানীর প্রায় ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ঔষধ কথিত সভাপতি সামছুর রহমানের সহায়তায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর কলারোয়া পৌর সদরের ঔষধ ব্যাবসায়ীরা এ ধরনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কলারোয়া পৌর সদরের নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিকাংশ ঔষধ ব্যবসায়ীরা জানান, কলারোয়া পৌর জাতীয় পার্টির নেতা ও বাজারে ঔষধ ব্যবসায়ী (বর্তমানে ব্যবসা করে না) তিনি নিজেকে ড্রাগ সমিতির সভাপতি দাবি করে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির নিকট থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকে। কলারোয়া বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী নাদের হোসেন অলক (আসেম ফার্মেসীর মালিক) জানান, সামছুর রহমানের বর্তমানে বাজারে তার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলেও তিনি ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ঔষধ ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি আরো জানান, সোমবার সাতক্ষীরা ড্রাগ সুপারের কলারোয়ায় অভিযানের সময় উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক দোকান থেকে কথিত সভাপতি সামছুর রহমান চা-নাস্তা খাওয়ানোর নামে ৫’ শ থেকে ১ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করেছে এবং অভিযান চলাকালে তারা ড্রাগ সুপারের সাথে থেকে চাঁদা প্রদানকারী দোকানে যেতে না দিয়ে পৌর সদরের মান সম্পন্ন ঔষধ দোকান গুলিতে অভিযান চালানোর জন্য উৎসাহ প্রদান করে। তিনি বলেন, দিনভর অভিযান চালানো হলেও ড্রাগ সুপার কলারোয়া পৌর সদরের অবৈধ ঔষধ ব্যবসায়ীদের দোকানে যাননি। বিশেষ করে একাধিকবার অভিযুক্ত কলারোয়া রাসেল র্ফামেসীতে কোন অভিযান পরিচালনা না করায় ব্যবসায়ীদের মত কলারোয়া পৌরবাসী হতবাগ হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। অথচ অভিযানের সময় সেই দোকানের মালিক ড্রাগ সুপারের সাথে বিভিন্ন দোকানে উপস্থিত ছিলেন। কলারোয়া পৌর সদরের মান সম্মত এসব ঔষধ ব্যবসায়ীরা ড্রাগ সুপারের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা আতœসাত ও প্রকৃত অবৈধ ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঔষধ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে সামছুর রহমান (কথিত সভাপতি) উপজেলার বিভিন্ন ঔষধের দোকান থেকে চাঁদা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কিছু ব্যবসায়ী আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য এ ধরনের তথ্য সাংবাদিকদের নিকট সরবরাহ করেছে। তবে তিনি অভিযানের সময় ড্রাগ সুপারের সাথে ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন। অভিযান পরিচালনাকারী ঔষধ প্রশাসনের সাতক্ষীরা জেলা ড্রাগ সুপারভাইজার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সোমবার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন ঔষধের দোকানে তিনি অভিযান পরিচালনা করেছেন। তবে চাঁদার টাকা তোলার বিষয়টি তিনি কিছুই জানেনা। তিনি আরো বলেন, কয়েকটি দোকান থেকে ল্যাব টেষ্ট করার জন্য কয়েকটি কোম্পানির ঔষধ জব্দ করে আনা হয়েছে তবে টেষ্ট করার পর সেগুলি আবার দোকান মালিকদের ফেরত দেয়া হবে।