কলারোয়া

কলারোয়ায় স্থগিত তিনটি কেন্দ্রে আতংক, রাতে অচেনা মানুষের আনাগোনা

By Daily Satkhira

October 27, 2016

কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থগিত তিনটি কের্ন্দের ভোট আগামী ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্র তিনটির মধ্যে উপজেলার ৮নং কেরালকাতা ইউনিয়নের বলিয়ানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১০ নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের কলাটুপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাখদা মাদরাসা কেন্দ্রে স্থগিত হওয়া এ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সরজমিনে কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ও কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের স্থগিত কেন্দ্র এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, ভোটের দিন পুনরায় সংঘর্ষের আশংখায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় ভোটাররা তাদের ভোটটি কেন্দ্রে যেয়ে দিতে পারবেন কি-না সে বিষয়ে সন্ধিহান রয়েছে। তবে কলারোয়া পুলিশ প্রশাসনের নিয়মিত টহল জোরদার করায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে কিছুটা হলেও শাস্তি ফিরে এসেছে। কেরালকাতা ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন আ.লীগের দুই প্রার্থী হওয়ায় তারা আবারো সংঘর্ষের আশংখা করছেন। স্থানীয়রা আরো জানান, প্রতিদিন দিনের বেলায় গণসংযোগ চালালেও সন্ধ্যার পর থেকে এলাকায় চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ির বাহিরে যাচ্ছে না। এছাড়া সম্প্রতি কেরালকাতা ইউনিয়নে অচেনা কিছু লোকের আনাগোনা দেখে সাধারণ ভোটাররা আরো বেশি উৎকন্ঠায় রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি পুলিশ প্রশাসন নিরেপেক্ষ ভাবে কাজ করলে ভোটাররা তাদের ভোটটি দেয়ার জন্য উৎসাহ পাবে। উপজেলার কুশোডাঙ্গা এলাকা ঘুরে একই রকম চিত্র লক্ষ্য করাগেছে। তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করার জন্য রির্টানিং কর্মকর্তা ও কলারোয়া পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। কেরালকাতা ইউনিয়নের আ.লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী স.ম মোরশেদ আলী জানান, এলাকার পরিবেশ ভালো আছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটারা ভোট দিতে পারলে তিনি জয়লাভ করবেন। অপরদিকে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভোট কেন্দ্রে পুনরায় সংঘর্ষের আশংকা প্রকাশ করে জানান, আমি ইউনিয়নের আটটি কেন্দ্রের ফলাফলে ৮৩ ভোটে এগিয়ে আছি। আর স্থগিত কেন্দ্রটি আমার নিজের বাড়ির এলাকা সে কারনে এখানে আমার শতভাগ ভোট পাওয়ার সম্ভনা বেশী। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে একমত পোষণ করে বলেন, সম্প্রতি এলাকায় একাধিক অচেনা লোক রাতে এলাকায় ঘোরাফেরা করায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। তিনি জানান, ভোটের দিন কেন্দ্রে স্থানীয় মানুষেরা কেন্দ্রে অবস্থান করবে যাতে কোন সন্ত্রাসীরা ভোট ডাকাতি না করতে পারে। এ বিষয়ে তিনি রির্টানিং কর্মকর্তা ও কলারোয়া পুলিশ প্রশাসনের কঠোর হস্থক্ষেপ কামনা করেন। প্রসংগত; উপজেলার কেরালকাতা স্থগিত হওয়া একটি কেন্দ্রের ভোট সংখ্যা ২হাজার ১’শ ৫টি এবং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের দুইটি কেন্দ্রে ভোট সংখ্যা ২হাজার ৯’শ ১৪টি ভোট রয়েছে।