শ্যামনগর

পুলিশের অভিযানে আছাদুরের ঘাতক লিটন ও সোহান গ্রেফতার

By daily satkhira

December 30, 2017

পলাশ দেবনাথ নুরনগর থেকে : শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের চিংড়ী ব্যবসায়ী আছাদুর (২৮)এর ঘাতক লিটন (২৪)কে শ্যামনগর থানা পুলিশ শনিবার বেলা ১২টার দিকে ঘটনা স্থল সংলগ্ন চুনোখালী বিল থেকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তার সহযোগী যশোর জেলার ষষ্ঠীতলা এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে সোহান ওরফে (২৫) সুমনকেও ঐ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। লিটন শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের উত্তর হাজিপুর গ্রামের আব্দুল গফ্ফারের ছেলে। প্রাথমিকভাবে লিটন হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নিহতের পিতা নুরনগরের পার্শ্ববর্তী আড়ংগাছা গ্রামের আব্দুল জব্বার বাদি হয়ে মামলা করবে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। এদিকে মাত্র ১২/১৪ ঘন্টার মধ্যে কুল কিনারা না থাকা একটি হত্যাকান্ডে জড়িত দুই ঘাতককে গ্রেফতারে শ্যামনগর থানা পুলিশের আন্তরিকতা ও চাতুর্য্যরে প্রশংসা জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। উল্লেখ্য (শুক্রবার রাত আটার দিকে) নুরনগর বাজার সংলগ্ন দেওড়াবাড়ী এলাকায় নিজ মৎস্য খামারে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তর হাতে চিংড়ী ব্যবসায়ী আছাদুর রহমান (৩৮) নিহত হয়। রাত ৮টার দিকে দেওড়াবাড়ী নুরনগর বাজার সংযোগ সড়কের উপর আছাদুরের রক্তমাখা দেহ পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা তাকে নিকটস্থ আইয়ুব আলীর ক্লিনিকে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত আছাদুরের ঘাড়ে ও উরুতে গভীর ক্ষতের চিহ্ন ছিল বলে প্রতক্ষদর্শীরা জানায়। হত্যাকান্ডের পরপরই স্থানীয়রা ছিনতাইকারীর হাতে আছাদুর নিহত হয়েছে বলে ধারনা করলেও হত্যাকান্ডে জড়িতদের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোন তথ্য দিতে পারেনি। এদিকে হতাকান্ডের পরপরই শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী নিজে ঘটনাস্থলে যেয়ে হত্যাকান্ডের তদন্ত শুরু করেন। রাতে সন্দেহভাজন কয়েকটি জায়গায় অভিযানও পরিচালনা করেন তারা। অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক আকরাম হোসেন, উপ-পরিদর্শক শংকর, সহকারী উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একাধিক টিম রাত থেকে মাঠে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে শনিবার বেলা ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিগঞ্জ উপজেলাধীন চুনোখালী বিলে একটি ঘেরের বাসা থেকে তাদের দু’জনকে আটক করে পুলিশ। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী জানান, হত্যাকান্ডের পর থেকে পুলিশ মাঠে ছিল। তিনি আরও জানান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উভয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নিহতের পিতা বাদি হয়ে হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করবে জানিয়ে আজকের সাতক্ষীরাকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধীরা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে। তবে এ হত্যাকান্ডের নেপথ্য কি আছে আর কোন রহস্য রয়েছে কিনা তাও দ্রুত সময়ের মধ্যে উদঘাটনে পুলিশ আন্তরিক। এলাকাবাসী বলছে লিটন এলাকার উচ্ছৃংখল যুবক হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। সে প্রায় বহিরাগত অপরাধীদের নিয়ে নুরনগর বাজারসহ আশপাশের এলাকায় চুরি ছিনতাইসহ নানান অপকর্ম করে আসছে বহুদিন ধরে। হত্যাকান্ডের পরপরই হত্যা রহস্য উদঘাটনসহ ঘাতক সনাক্তসহ গ্রেফতারে পুলিশের অভিযানে শ্যামনগর থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।