নলতা প্রতিনিধি: হযরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রাঃ)’র ১৪৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরার জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় ৩০ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের মাহফিল মাঠে সেমিনার ও ৩৩ তম চক্ষু শিবিরের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রাঃ) এঁর জীবনী নিয়ে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি।
আলহাজ্ব মোহাম্মদ সেলিমউল্লাহ’র সভাপতিত্বে সম্মাানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- রওজা শরীফের খাদেম আলহাজ্জ মৌলভী আনছার উদ্দিন আহমদ, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দীন হাসান, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হাফিজ আল আসাদ, অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন সম্প্রসারিত কার্যক্রম, ঢাকা এর সমন্বয়ক আলহাজ্জ এ এফ এম এনামুল হক, আলহাজ্ব রাশেদ আহমেদ চৌধুরী, মিশনের যুগ্ম-সম্পাদক আলহাজ্জ মো. সাইদুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. তারিকুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও শাখা মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমন্ডলী, জনপ্রতিনিধি, ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্টমিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, চিকিৎসকবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার ব্যক্তিবর্গ।
এসময় খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা রচিত গ্রন্থ ও তাঁর জীবন দর্শনের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অধ্যাপক ডা. রুহুল হক এমপি বলেন, ১৮৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসের কোন এক শনিবার অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক, আলহাজ্জ¦ হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) নলতা শরীফে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তাঁর ১৪৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেমিনার। ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করেই প্রতিবছর নলতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প। পীর কেবলা অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা থাকাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আধ্যাত্মিক সাধনার পাশাপাশি মানুষের কল্যাণের জন্য ১৯৩৫ সালে ‘¯্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা’ এ মহান ব্রতকে সামনে রেখে নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখন দেশ-বিদেশে তাঁর নামে অনেক প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। আমার পিতা মরহুম নজির আহম্মেদ পীর কেবলার অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি ছিলেন। শেষ বয়সে পীর কেবলার ১টি চক্ষু নষ্ট হওয়ার কারণে অনেক কষ্ট অনুভব করেছিলেন। সে কারণে তিনি চক্ষু হাসপাতালের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এঁর আশীর্বাদ আছে বলেই এতবড় চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও তরজমা করেন হাফেজ শামছুল হুদা এবং অনুষ্ঠানের শেষে দোয়া পরিচালনা করেন নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্জ মাওলানা মো. আবু সাঈদ।