ফাইল ছবি

আশাশুনি

আশাশুনিতে নগ্ন নৃত্য চলছেই; নর্তকীর শরীরে টাকা ছিটালেন জেলা পরিষদ সদস্য!

By Daily Satkhira

January 02, 2018

এম বেলাল হোসাইন: আশাশুনিতে যাত্রার আড়ালে জমজমাট জুয়ার আসর কোনভাবেই বন্ধ বরা সম্ভব হচ্ছে না। যাত্রার নামে মানুষকে আকৃষ্ট করে ফাঁসানো হচ্ছে জুয়ার আসরে। সম্প্রতি আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উৎসবের আড়ালে জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন হতে আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের কামালকাটিতে যাত্রার নামে চলছে চরম অশ্লীল নগ্ন নৃত্য ও প্রকাশ্য রমরমা জুয়ার আসর। শুধুুমাত্র উৎকোচের বিনিময় চলছে এ নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার রমরমা অবৈধ্য ব্যবসা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার কামালকাটি বাজার সংলগ্ন এমপি নামক মাঠে ১০০টাকা থেকে ৫০০ টাকা টিকিটের বিনিময়ে দর্শকদেরকে ভিতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করে দেখা গেছে স্টেজে চলছে কয়েকজন স্থুলকায় তরুণীর অশ্লীল পোশাকে নগ্ন নৃত্য। এভাবে প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে শুরু হয়ে সারা রাত্র ব্যাপী চলছে এ অশ্লীল নৃত্য। আর স্টেজের পাশেই সাজানো হয়েছে রমরমা জুয়ার আসর। নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করে পাতানো জুয়ার পশরার ফাঁদে পকেট কেটে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। দেখা গেছে, এসব অবৈধ্য কারবারের পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। এমনকি নগ্ন নৃত্য দেখে হাজার হাজার টাকা ছড়িয়ে নায়িকাদের বরণ করে নিতে দেখা গেছে একজন জেলা পরিষদ সদস্যকেও! তার এই উদ্দামতায় লজ্জ্বিত সেখা সাধারণ দর্শকর!

এদিকে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, জুয়া ও নগ্ন নৃত্যের জমজমাট আসর পরিচালনা করছেন শহিদুল, রজবালী, খোকন, কামাল, জাকির, আজিজসহ কয়েকজন জুয়ারী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায় সব দিক ম্যানেজ করেই চলছে এসকল অবৈধ কারবার। এসকল আসরে সবকিছু হারিয়ে নিঃশ্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ আর লাভবান হচ্ছে বোর্ড মালিক ও আয়োজকরা। উপজেলার সচেতন মহলের দাবি দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবনে যে অস্থিরতা নেমে এসেছে সেখানে পরিবারের খাদ্য যোগাতে উপার্জনের অর্থ শেষ হয়ে যাওয়া দরিদ্র মানুষের সামান্য রোজগারের অর্থও চলে যাচ্ছে জুয়া ও অশ্লীলতায়। বেড়ে যাচ্ছে পারিবারিক অশান্তি। অসহায় সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়েই জড়িয়ে পড়ছে চুরি, ছিনতাইসহ নানাবিধ অপকর্মের সাথে। অবনতি হচ্ছে উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির। নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর সাজিয়ে দরিদ্র মানুসের কষ্টে অর্জিত অর্থ পকেট দিচ্ছে ফাকা করে তেমনি উঠতি বয়সী যবুকেরা ধাবিত হচ্ছে, মাদক ও অশ্লীলতার দিকে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন উপজেলার সচেতন সুধী মহল।