শ্যামনগর প্রতিনিধি: আবু জাফরের শিক্ষকতা কেবলই তার বাহ্যিক পরিচয়। সুন্দর মেক-আপ, গেট-আপ, পরিপাটি সাঁজ সজ্জা আর ভোলা ভালা ব্যবহার দিয়ে নিজেকে সে সমাজের কাছ একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। শ্যামনগরের সোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু জাফর শিক্ষকতার আড়ালে নারী লিপ্সুর কাহিনী। তার এই সুন্দর চেহারার মধ্য লুকিয়ে রয়েছে চরম নিকৃষ্টতা। শিক্ষকতাকে পুঁজি করে যে ইতিপুর্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও বদলী বানিজ্যসহ নানা অপকর্ম করে গেছে নির্বিঘেœ।তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে আবু জাফর এখন নারীলোভী লম্পট হিসেবে সমধিক পরিচিত। বিষয়টি নিয়ে ইতিপুর্বে বিবাহিত এ শিক্ষকের পরিবারে অসংখ্যাবার বিচার সালিশ পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু তারপরও লাম্পট্যকে ত্যাগ করতে পারেনি নারী লোলুপ আবু জ্ফার।ইতিপুর্বে একাধিকবার তার স্ত্রী দু’সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পিতৃালয়ে যেয়ে ওঠে। পরে স্বজনদের মধ্যস্থতায় আবারও তাদেরকে জাফরের পরিবারে ফিরিয়ে আনা হয়। আব্দুল কাদের, জামসেদ আলীসহ অনেকেই অভিযোগ করেন,রমজাননগরের চাঁদখালী গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা নারী রোজিনা বেগমের নির্জন বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েদের এনে সে রাতভর ফুর্তি করে। এছাড়া উপজেলা সদরের উজ্জল শেখ এর গ্রামীন ফোনের কাষ্টমার কেয়ার সেন্টারে কাজ করার সময় ‘সিম রিপ্লেসমেন্ট’সহ নানা কারনে তার কাছে আসা নারীদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে পায়শই উত্যক্ত করার পাশাপাশি অনেকের সাথে গীভর সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ে তোলে। এধরনের এক ঘটনায় উপজেলার সোনার মোড় এলাকার জনৈক প্রবাসী হাসান মিয়ার স্ত্রী’র সাথেও অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে শিক্ষক নামের কলঙ্ক লম্পট আবু জাফর। এরশাদ, মিঠু, মোমিনসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে জানায় শিক্ষকতা পেশায় যোগদানের পর সে সাতক্ষীরাতে পিটিআই প্রশিক্ষনে যায়। সেখানে অপর এক শিক্ষিকার সাথে অনৈতিক কাজের সময় হাতে নাতে এলাকাবাসীর হাতে ধৃত হওয়ার পর তার স্ত্রী রুনা বেগম সাতক্ষীরায় স্বামীর ভাড়া বাসায় যেয়ে থাকে শুধুমাত্র আবু জাফরের অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে।আরও অভিযোগ রয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় কৈখালীর একটি কেন্দ্রে দায়িত্ব পড়ে উক্ত আবু জাফরের। এসময় ব্যালট পেপার কাটার দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও উক্ত আবু জাফর সুন্দরী নারীদের হাতে অমোচনীয় কালি লাগানোর সুযোগ হাতছাড়া না করতে ঐ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির সাথে ‘ডিউটি’ পরিবর্তন করে। এক পর্যায়ে ‘টার্গেট’ করা ঐ সুন্দরী নারীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার সাথেও (স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে) সম্পর্ক গড়ে তোলে। অভিযোগ রয়েছে শিশু রেজা এমপি কলেজের প্রভাষক প্রভাষ কুমারের স্ত্রীকে ডেপুটেশনে আবু জাফর তার কর্মস্থল সোরা বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। এসময় বিয়ের প্রতিশ্র“তি দিয়ে কয়েক মাস অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিষয়টি উক্ত শিক্ষিকার স্বামীর গোচরীভুত হলে তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। পরবর্তীতে ঐ প্রভাষক নিজ স্ত্রীকে জাফরের হাত থেকে রক্ষা করতে অন্যত্র বদলী করে নিয়ে যায়। বংশীপুর গ্রামের সোলায়মান ও শেখ হাফিজুরসহ অনেকেই জানায় গত কয়েক মাস পুর্বে বংশীপুরের জনৈক ধান ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের বাড়ির সামনের এক গৃহবধুরর সাথে আপত্তিজনক অবস্থায় হাতেনাতে ধৃত হয়ে আবু জাফর গনধোলাইয়ের শিকার হয়। এর আগে ভুরুলিয়া গ্রামের তার অতি নিকটাত্বীয় দুই বোনও জাফরের লেঅলুপ দৃষ্টি থেকে রেহাই পায়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমন ভুরি ভুরি নারী কেলেংকারীতে জড়িত শিক্ষক নামধারী লম্পট আবু জাফরের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে ভুক্তোভোগীরা। এবিষয়ে শিক্ষক আবু জাফরের সাথে কথা বললে তিনি জানান ,আমার বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে।