‘কলা’ হলো এমন একটি ফল যা স্বাদে অসামান্য হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টি মূল্যেও ভরপুর। লো প্রেশার মোকাবিলা কিংবা ক্যানসার প্রতিরোধ অথবা অ্যাজমা সারাতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
একটি মাঝারি মাপের কলার পুষ্টিমূল্য প্রচুর। এতে থাকে ক্যালোরি (১০৫), ফ্যাট (০.৪ গ্রাম), সোডিয়াম (১.২ গ্রাম), পটাসিয়াম (৪২২.৪ মি.গ্রা), কার্বোহাইট্রেড (২৭ গ্রাম), প্রোটিন (১.৩ গ্রাম)। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাঠকদের জন্য রইলো, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কলার ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত-
১। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়-
কলার মধ্যে উপস্থিত পটাসিয়াম সাধারণত হার্টের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। ব্লাড প্রেশার লেভেলও ঠিক থাকে।
২। এনার্জি বাড়ায়-
কলার মধ্যে যেহেতু ক্যালোরি ভরপুর তাই এটি এনার্জি বুস্টার হিসাবেও কাজ করে। যে কোনও খেলোয়াড়রা কিংবা যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তারা খেলার মাঝে বা ব্যায়ামের মাঝে কলা খেয়ে থাকেন এনার্জি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে।
৩। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে-
কলার মধ্যে ফাইবারের উপস্থিতি মানবদেহের পাচন ক্ষমতাকে উন্নত করে। তাই যারা বদহজমের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য কলা খুব উপকারী।
৪। ক্যানসার প্রতিরোধ করে কলা-
কলার মধ্যে এমন অনেক প্রকার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষ উপকারী। তাই সারা বিশ্বের চিকিৎসকরা কলা খাওয়ার উপর বিশেষ জোর দিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৫। হাঁপানি প্রতিরোধ করে-
কলার মধ্যে কিছু এমন অ্যান্টি অ্যালার্জিক উপাদান আছে যা হাঁপানি কমাতে বিশেষ উপকারী। তাই যাঁরা দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের চিকিৎসকরা নিয়মিত কলা খাওয়ার নির্দেশ দেন।
৬। মানসিক অবসাদ রোধে-
কলায় অ্যামাইনোজ অ্যাসিড আছে, যা স্ট্রেস কমাতে এবং মুড ভাল করে। মানসিক অবসাদে আক্রান্তদের জন্যও কলা ভাল কাজ দেয়।
৭। ত্বকের সুরক্ষায়-
কলা ত্বক ভাল রাখতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি কলার সাহায্যে বানানো মাস্ক মুখে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি স্কিন ময়েশ্চারাইজের কাজও মেটে।