নিজস্ব প্রতিবেদক: ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজের সদ্য বিতর্কিতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জ্যোতি, ডিবি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হুদাসহ ১২জনের নামে নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৭ ডিসেম্বর’ ১৭ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই সোহরাব হোসেন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ ডিসেম্বর’১৭ তারিখ রাতে পুরাতন সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল হাইস্কুল মাঠে পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মৃত. তাজুউদ্দিন সরদারের ছেলে মাও: শামসুর রহমান, বাগডাঙ্গা এলাকার তাজুউদ্দিন সরদারের ছেলে আতিয়ার রহমান, মাটিয়াডাঙ্গা এলাকার মোঃ জোহর আলীর ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক, তথ্য প্রযুক্তি আইনে আটক হওয়া আসামি উত্তর কাটিয়া এলাকার মৃত. আব্দুর রউফের ছেলে মোদাচ্ছেরুল হক হুদা, বাডাঙ্গা এলাকার মৃত শামসুর রহমানের ছেলে আব্দুল খালেক, মৃত. ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, ডিবি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রহ্মরাজপুর এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে মমিনুর রহমান মুকুল, ভালুকাচাঁদপুর এলাকার মৃত. আব্দুর রউফের ছেলে ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মোফাচ্ছের হক ওরফে মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি, কালিগঞ্জ উপজেলার গোলখালী গ্রামের আত্তাব উদ্দীনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা কাথন্ডা এলাকার নুর উদ্দিন মোল্যার ছেলে আনিছুর রহমান, একই এলাকার যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি জেলা জামাতের আমির খালেক মন্ডলের ছেলে শামীম হোসেন ও কলারোয়া উপজেলার লাঙলঝাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে শহিদুল ইসলামসহ ৬০/৭০ জন জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা সাতক্ষীরায় নাশকতার গোপন বৈঠক শুরু করেছে এমন সংবাদ পান সদর থানা এস আই সোহরাব হোসেন। এঘটনা জানতে পেরে তিনি বিষয়টি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে পল্লীমঙ্গল হাইস্কুল মাঠে অভিযান পরিচালনা করলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যান্য ব্যক্তিরা পালিয়ে গেলেও মাও: শামসুর রহমান, আতিয়ার রহমান, ও আবু বক্কার সিদ্দিককে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করেন। সে অনুযায়ী সদর থানার এস আই সোহরাব হোসেন বাদি হয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নামে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। যার নং ৪৫। এদিকে উক্ত মামলা আসামিরা পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অবশ্য এলাকাবাসী বলছে, গত ১ জানুয়ারি বই উৎসবের দিন মামলার ৭নং আসামি ডিবি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল স্কুলে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করেছেন। এছাড়াও মামলার ৮নং আসামি ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি ১ ডিসেম্বর কলেজের স্বাক্ষর বইতে স্বাক্ষর করেছেন এবং ৪ নং আসামি তথ্য প্রযুক্তি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মোদাচ্ছেরুল হক হুদাও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইউসুফের সাথে ০১৭১৪ ৬৯৫০৬০ নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি রিসিভ না করায় তা সম্ভব হয়নি।