জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ডাকা ইরান বিরোধী বৈঠকটি ব্যর্থ হয়েছে।
ইরানে সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের প্রতি সমর্থনের লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসন ওই বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু পরিষদের বেশির ভাগ সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের বিরোধিতা করে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি বলেন, ইরানে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের প্রতি ওয়াশিংটনের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে ফরাসি রাষ্ট্রদূত ফ্রাঁসোয়া দেলাত্রে বলেন, ইরানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়নি।
বৈঠকে চীনের রাষ্ট্রদূত ইরানের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানায়।
চীনা দূত বলেন, একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা নিরাপত্তা পরিষদের উচিত হবে না।
এছাড়া রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, আজকের বৈঠকে যে বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে তার সঙ্গে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কোনো সম্পর্ক নেই। নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা দুর্বল হয়ে যায় এমন কোনো কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয়।
বলিভিয়া, হল্যান্ড, কুয়েত ও কাজাখস্তানসহ আরো কয়েকটি দেশ ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। শেষপর্যন্ত বৈঠক থেকে ইরানের ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব পাস করা সম্ভব হয়নি।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রুশ-মার্কিন দ্বন্দ্বের কারণেই ইরান বিরোধী কোনো প্রস্তাব পাস করা যায়নি। মস্কো ইরানের দীর্ঘদিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ জানিয়ে ইরানের কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপরই বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানায় ওয়াশিংটন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তেহরানের ওপর নজর রাখছে ওয়াশিংটন।