হ্যাটট্রিক! তৃতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় নেতা ইমরান খান। পাকিস্তানের কিংবদন্তি এই অলরাউন্ডারের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইমরান বিয়ের জন্য বুশরা মানেকা নামের এক নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। এর আগে ইমরান ও তাঁর রাজনৈতিক দল বিয়ের খবর অস্বীকার করে আসছিল। অবশেষে পিটিআই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইমরান বিয়ে করছেন না, বিয়ের জন্য কেবল প্রস্তাব দিয়েছেন! এ নিয়ে কিছুদিন ধরে পাকিস্তানে বেশ তোলপাড় চলছিল।
১৯৯৫ সালে ইমরান বিয়ে করেন ব্রিটিশ ধনকুবের জেমস গোল্ডস্মিথের মেয়ে জেমিমাকে। ২০০৪ সালে দুজনের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ইমরান। বিয়ে করেন সাংবাদিক রেহম খানকে। এই সম্পর্কটা কুৎসিত পরিণতি দিয়ে শেষ হয়। দুজন দুজনের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অনেক অভিযোগই আনেন।
এরপর ৬৫ বছর বয়সী ইমরানকে জড়িয়ে ২০১৬-এর মাঝামাঝি, ২০১৭-এর শেষের দিকে আর ২০১৮ সালের শুরুতে বুশরা মানেকাকে নিয়ে অনেক খবর রটে। ইমরান ৫০ বছর বয়সী বুশরার কাছে অনেক দিন ধরেই আধ্যাত্মিক নির্দেশনার জন্য যেতেন। দুজনে বিয়ে করছেন বা করেই ফেলেছেন, এ ধরনের একের পর এক খবর নিয়ে কিছুদিন ধরে শোরগোল চলছিল পাকিস্তানে। ইমরান এসব ‘ভুয়া’ খবর বলে উড়িয়ে দেন। এমনকি মামলাও করেন কিছু সংবাদ চ্যানেলের বিরুদ্ধে।
টানা গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে পিটিআই আজ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইমরান বিয়ে করেছেন এমন খবর সত্যি নয়। তবে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন বুশরাকে। বুশরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে সময় চেয়েছেন। বুশরার নিজেরও সন্তান আছে। তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় নেতার দলীয় চিঠির পাতায় দেওয়া বিবৃতিতে স্পর্শকাতর ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের বাড়াবাড়িকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। বিয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে ইমরান সবাইকে জানাবেন। তত দিন পর্যন্ত ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে সম্মান জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।