ফিচার

রসুলপুর ফুটবল মাঠের চারিপাশের প্রাচীন বৃক্ষ নিধন; ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী

By Daily Satkhira

January 10, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার শহরের রসুলপুর ফুটবল মাঠের চারপাশে অবাধে বৃক্ষ নিধন করে বিক্রির অভিযোগে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। টেন্ডার ও বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে অনুমান ৫ লক্ষ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। রসুলপুর ফুটবল মাঠের চারপাশের ৪০ থেকে ৫০টি গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করেছে রসুলপুর ক্লাব। ফলে ঐ এলাকার বৃক্ষ সম্পদ ধ্বংস হতে চলেছে। পরিবেশের ভারসাম্য ও সুষম জলবায়ুর প্রয়োজনে একটি দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। অথচ ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বৃক্ষ নিধন করেছেন। রসুলপুর যুব সমিতির সদস্য মিজানুর রহমান খান বলেন, বহু বছর আগে ঐ এলাকার খান পরিবারের সদস্যরা খেলা-ধূলার স্বার্থে সকলে মিলে জমি দান করেন এবং মাঠের চারিপাশে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে অনেকগুলি গাছ লাগান। রসুলপুর যুব সমিতির নামে রেকডীয় সম্পত্তির উপর লাগানো গাছগুলো এভাবে কাউকে না জানিয়ে কেটে বিক্রি করা হয়েছে। গাছগুলি ফুটবল মাঠের সীমানার বাহিরে। কি কারনে গাছ কাটা হল জানিনা। যা এলাকাবাসীসহ সাধারণ মানুষের কাম্য নয়। এব্যাপারে রসুলপুর ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান খান বিটু বলেন, আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে রেজুলেশন করে প্রশাসনকে জানিয়ে গাছ কেটে বিক্রি করেছি। সাতক্ষীরা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের গাছগুলি দেখিয়েছি। তারা বলেছে এ গাছ আর বড় হবেনা। মাঠটির বাউন্ডারি প্রাচীর না থাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে নেশাখোরদের আড্ডা বসে। সেকারনে এই গাছ কেটে বিক্রি করে সীমানা প্রাচীর দেওয়া হবে এবং মাদকমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হবে। প্রাচীর নির্মাণ হলে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার এটি উদ্বোধন করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রসুলপুর যুব সমিতির এক ব্যক্তি জানান, রসুলপুর ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া এই গাছ বিক্রির বিষয়ে কেউ জানেনা। ক্লাবের নির্বাচন হয়না বহু বছর। কিভাবে তারা ক্লাব চালাচ্ছেন এলাকাবাসী জানেনা। রসুলপুর ক্লাবের সভাপতি মেহেদী হাসান ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। ব্যাংকে অর্থ জালিয়াতির কেচে চাকরি নেই। তিনি ক্লাবের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ দেননা। কাউকে না জানিয়ে এতগুলি গাছ বিক্রি করলেন কিভাবে? ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও রসুলপুর যুব সমিতির কেউ জানেনা। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বৃক্ষ নিধনের অভিযোগ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া হয়েছে। বৃক্ষ নিধনের ফলে ওই এলাকায় দ্রুত পরিবেশের বিপর্যয় ঘটার আশংকা রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।