জাতীয়

নজিরবিহীন রেকর্ডের দিন আজ; টানা ৯ বছর ক্ষমতায় শেখ হাসিনা

By Daily Satkhira

January 12, 2018

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের চার বছর পূর্তি আজ। বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের নিশান উড়িয়ে টানা ক্ষমতার নয় বছর পূর্ণ করল শেখ হাসিনার সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে সরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে। সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ। নজিরবিহীন এ সাফল্যের যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মধ্য দিয়ে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

টানা নয় বছরে সরকার পরিচালনার সফলতা-ব্যর্থতার খেরোখাতায় যে লাইনটি সবার আগে উঠে এসেছে তা হচ্ছে— দেশের রাজনীতিসহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই। নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। এ সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন দেশের ভিতরে-বাইরে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত হয়েছে বিশ্বদরবারে। কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র, চিকিত্সার দায়িত্বও নেয়। সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে। তবে মাঠের বিরোধী দল বিএনপিকে রাজপথে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়া, গুম-খুন এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সরকারকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। সূত্রমতে, আগামী ডিসেম্বরে জনগণের কাছে ভোটের জন্য যেতে হবে। টানা নয় বছরের শাসনামলের ইতিবাচক কী পুঁজি নিয়ে দেশবাসীর কাছে ভোট চাইবে, ক্ষমতায় থাকার ম্যান্ডেট চাইবে? সে প্রশ্নটি কখনো সরবে, কখনো নীরবে আলোচিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, টানা নয় বছরের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ ও সরকারের সাফল্যগুলোই প্রধান হাতিয়ার হবে জাতীয় নির্বাচনের। এ বছরই সরকারের অগ্রাধিকার জনবান্ধব প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হবে। নিজস্ব অর্থায়নে করা দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে এ বছর। দোতলা এই সেতুর কাজ ইতিমধ্যে ৫২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। উত্তরা থেকে পল্লবী হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল প্রকল্প দৃশ্যমান হতে চলেছে। রাজধানীকে যানজটমুক্ত করতে ২২ হাজার কোটি টাকার বড় প্রকল্পটি দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন ২৫ জানুয়ারি। পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলছে জোরগতিতে। ঢাকা-জয়দেবপুর চার লেনের ৫১ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ২৬ ভাগ। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের কাজ শেষ পর্যায়ে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণে কোনো বাধাই উন্নয়নের গতিপথ রোধ করতে পারেনি। বর্তমান সরকারের আমলে প্রবৃদ্ধি ৫.৫৭ থেকে ৭.২৮ শতাংশে উন্নীত। মাথাপিছু আয় ৮৪৩ থেকে ১৬১০ মার্কিন ডলার, বিনিয়োগ ২৬.২৫ শতাংশ থেকে ৩০. ২৭ শতাংশ, রপ্তানি ১৬.২৩ থেকে ৩৪.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রেমিটেন্স ১০.৯৯ থেকে ১২.৭৭ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ ১০.৭৫ থেকে ৩৩.৪১ বিলিয়ন ডলার এবং এডিপি ২৮৫ বিলিয়ন টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০৭ বিলিয়ন টাকা। বিদ্যুৎ উত্পাদন বেড়েছে ৮৫ ভাগ। বিএনপি-জামায়াতের রেখে যাওয়া ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন থেকে বাড়িয়ে এখন ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন হচ্ছে। সূত্রমতে, নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ ও মেট্রোরেল প্রকল্প সরকারের অগ্রাধিকার ও জনবান্ধব উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হবে এ বছর।

সরকারের গত নয় বছরের মেয়াদে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সাফল্য রয়েছে অনেক। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সিপিএ (কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন) চেয়ারপারসন এবং সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ছিল দেশের এবং সরকারের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক এ দুটি সংগঠনের জাতীয় সম্মেলনও বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে বাংলাদেশের আয়তনের সমপরিমাণ সামুদ্রিক এলাকা আদায় করা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণেই। একইভাবে ভারতের সঙ্গে ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। ২০১৭ সালের শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ এক অনন্য উচ্চতার শিখরে আরোহণ : ৭ মার্চের ভাষণ এখন বিশ্বের। নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করেছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া হার্ভার্ড ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে করা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘দ্য গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে রাষ্ট্রক্ষমতায় নারীর অবস্থান বিবেচনায় সবাইকে পেছনে ফেলে বিশ্বের এক নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়-খাওয়ানোর ব্যবস্থা করায় বিশ্ব গণমাধ্যম ‘বিশ্ব মানবতার জননী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে সুনাম বেড়েছে।

প্রথম থেকেই সঠিক পথে চলায় বর্তমান সরকারের কাছ থেকে মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে দেশকে বিশ্বসভায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ-শান্তিময় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন— এমন আশায় বুক বেঁধেছে দেশের মানুষ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার। কৃষি, খাদ্য, ভূমি উন্নয়নে ইশতেহার অনুযায়ী উত্পাদন বাড়াচ্ছে সরকার। বছরে খাদ্যশস্য উত্পাদন প্রায় ৪ কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। মিঠা পানির মাছ উত্পাদনে বাংলাদেশ চতুর্থ এবং সবজি উত্পাদনে তৃতীয়। বর্তমানে চতুর্থ চাল উত্পাদনকারী দেশ বাংলাদেশ। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক সাফল্য এসেছে বর্তমানে। ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২১ সালে মানুষের গড় আয়ু ৭২ ধরা হলেও এখনই সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয়েছে। স্বাস্থ্য কার্ড সেবা চালু হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্যতম ঘোষণা ছিল দারিদ্র্য দূরীকরণ। ২০২১ সালের মধ্যে সহস্রাব্ধ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দারিদ্র্যের অনুপাত ১৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ধরা হয়েছিল। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে দারিদ্র্য হ্রাসের হার ১.৭’র উপরে নিয়ে যেতে পেরেছে সরকার। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। শুরু থেকেই সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইউনিয়ন পরিষদ তথ্যকেন্দ্রগুলোকে ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে। সারা দেশে স্কুল-কলেজে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম করা হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থাপনা, টেন্ডারসহ নানা কাজে ই-সেবা চালু করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কানেক্টিং ডিজিটাল বাংলাদেশ, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট এবং আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন— এই চার স্তম্ভকে ঘিরেই পরিচালিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কার্যক্রম। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় সরকারের এই চার বছর একেবারে শুভকর ছিল না। জঙ্গি হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার যে অশুভ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, বাস্তবে ঘটেছে ঠিক তার উল্টো। ওই হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিশ্বের তাবৎ বড় দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। এরপর শক্ত হাতে হামলাকারী জঙ্গিসহ তাদের মাস্টারমাইন্ডদের নিধন করে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেও সক্ষম হয় ক্ষমতাসীন সরকার। এর পর বাকি সময়ে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ আর সব সূচকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মিছিল আর থামেনি, বরং আরও এগিয়ে যাচ্ছে। কেমন গেল এই তিন বছর? অনেক বিচক্ষণ ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠী বলেছিল, ২০১৪ সালের নির্বাচন হলে কী হবে, শেখ হাসিনার সরকার এই দফায় এক বছরও টিকবে না। কিন্তু শত বাধা-বিপত্তি ও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার সরকার শুধু টিকেই যায়নি, এই চার বছরে দেশকে অগ্রগতির পথে অনেকদূর নিয়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, শেখ হাসিনাকে অনেকেই উন্নয়নশীল দেশের ‘উন্নয়নের রোল মডেল নেতা’ হিসেবেও মনে করেন। গত বছর সরকারবিরোধী জোরালো কোনো আন্দোলন ছিল না, ছিল না রাজপথে রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ। তবে আগামীর পথ কুসুমাস্তীর্ণ নাও হতে পারে। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান চ্যালেঞ্জই হচ্ছে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিজ দলের চেন অব কমান্ড ঠিক রেখে দলকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা আনা। কুমিল্লা ও রংপুর সিটি নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটির উপনির্বাচনসহ আরও পাঁচ সিটিতে জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিতে হবে। সরকারের চার বছরের মূল্যায়ন করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এবারের চার বছর এবং গত পাঁচ বছরে সরকারের বড় সাফল্য অর্থনীতিতে গতিশীলতা এসেছে। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্র্য সীমার হার ২০ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। হতদরিদ্রের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার বিস্তৃতি বেড়েছে। সাক্ষরতার হার বেড়েছে। দেশের অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৩৪টি দেশের মধ্যে ১৭তম অবস্থানে বাংলাদেশ। নারীর ক্ষমতায়নে এক নম্বরে বাংলাদেশ। সব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণেই। আগামীতে চ্যালেঞ্জ কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, টানা নয় বছরে সরকারের যে উন্নয়ন হয়েছে, সেগুলোকে ধরে রেখে আগামীতে দলকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনা। নির্বাচনের সময় কখনো কখনো অস্থিরতা পরিবেশ তৈরি হয়, সেগুলোও শক্তভাবে মোকাবিলা করা সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।